চার বছর পর ইংল্যান্ডের মাঠে তাদের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে ভারত। শেষ চার বছরে বেশ কিছু বদল এসেছে দু’দলেই। ২০১৪ সালে সেই সিরিজ হারলেও ২০১৬-১৭ ফিরতি সিরিজে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল ভারত। ফলে বুধবার বার্মিংহ্যামে দু’দল মুখোমুখি হওয়ার আগে হিসেব সমান সমান।
প্রথম ম্যাচ যে মাঠে, সেই এজবাস্টনেই ২০১১ সালে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৭১০ রান করেছিল ইংল্যান্ড। এই মাঠে এটাই সর্বোচ্চ স্কোর। ইনিংস ও ২৪২ রানে হেরেছিল ভারত। বিরাট কোহালিরা নিশ্চয়ই এই ফলাফলের পুনরাবৃত্তি চাইবেন না।
৫ ম্যাচের সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ রোজ়বোলে। আজ পর্যন্ত এই মাঠে মাত্র দুটো টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়েছে। শেষ বার ২০১৪ সালে এখানে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৮ রানে অল আউট হয়ে ২৬৬ রানে ম্যাচ হারে ভারত। সেটাই এই মাঠে কোনও দলের সর্বনিম্ন স্কোর।
ইংল্যান্ডের মাঠে ভারতের রেকর্ড খুব খারাপ। বিলেতের মাঠে ৫৭ টেস্টে মাত্র ৬ বার জিতেছে ভারত। হেরেছে ৪৩ বার। এই পরিসংখ্যান শোধরানোর সুযোগ বিরাট বাহিনীর সামনে।
এই সিরিজে নতুন কীর্তির সামনে বিরাট কোহালি। অধিনায়ক হিসেবে ২১ টেস্টে জিতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর রেকর্ড সমান সমান। আর একটি টেস্ট জিতলেই সৌরভকে পিছনে ফেলে ভারতের দ্বিতীয় সফলতম টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার হাতছানি বিরাটের সামনে।
শেষ দুটো সিরিজে ব্রিটিশ সিংহদের অধিনায়ক ছিলেন অ্যালিস্টার কুক। এ বার ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব জো রুটের কাঁধে। দুটো সিরিজেই ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান এসেছে রুটের ব্যাট থেকে। নতুন দায়িত্ব কাঁধে রুট কি সেই পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি করতে পারবেন?
শেষ বার বিলেতের মাঠে ভারতের হয়ে ১৯ উইকেট নিয়ে জেমস অ্যান্ডারসনের সঙ্গে যুগ্ম ভাবে সিরিজ সেরা হয়েছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। এ বার চোটের জন্য ভুবি প্রথম ৩ টেস্টে দলের বাইরে। দেশের মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে এটাই অ্যান্ডারসনের শেষ টেস্ট সিরিজ। আর ১০টি উইকেট পেলেই টেস্টে তাঁর উইকেট সংখ্যা ছোঁবে ৫৫০-এর ম্যাজিক ফিগারে।
ভারতের দুই উইকেটরক্ষকই গত দুই সিরিজে ছিলেন না। ঋষভ পন্থের প্রথম টেস্ট সিরিজ। দীনেশ কার্তিক শেষ বার ইংল্যান্ডের মাঠে টেস্ট খেলেছিলেন ২০০৭-এ। ৩ ম্যাচের সে সিরিজ ১-০-তে জেতে ভারত। ৬ ইনিংসে ২৬৩ রান করে কার্তিক ছিলেন দেশের সর্বোচ্চ স্কোরার। ইংল্যান্ডের মাঠে শেষ দুই সিরিজে ভারত হেরেছে। এই সফরে ভারতের অন্যতম কাণ্ডারী হতে পারেন কার্তিক।