দুরন্ত: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি স্মৃতির। ছবি: পিটিআই
বিশ্বকাপে ভারতীয় মেয়েদের জয়য়াত্রা অব্যাহত। বৃহস্পতিবার টনটনে ঝুলন গোস্বামীরা উড়িয়ে দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ৪৫ বল বাকি থাকতে সাত উইকেটে জিতল ভারতীয় দল।
দ্বিতীয় লিগ ম্যাচে ভারতীয় স্পিনারদের দাপটে বেশি রান তুলতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫০ ওভারে ১৮৩-৮ স্কোরের মধ্যে প্রতিপক্ষকে বেধে রাখেন ভারতের তিন স্পিনার। এঁদের মধ্যে পুনম যাদব এবং দীপ্তি শর্মা বাঁ হাতি স্পিনার। তৃতীয় জন অফস্পিনার হরমনপ্রীত কৌর। তিন জনেই দু’টি করে উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বড় রান তুলতে দেননি। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুটা দারুণ করেছিল। ১৯তম ওভারে তারা তুলে ফেলেছিল ৬৯-১।
তখন দেখে মনে হচ্ছিল, টস জিতে অধিনায়ক মিতালি রাজের প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হবে না তো? স্পিনাররা আক্রমণে আসতেই অবশ্য ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে তুলে নিতে শুরু করে ভারত। একের পর এক উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯১-৬ হয়ে যায়। শক্ত ভিত থেকে নড়বড়ে অবস্থা তৈরি হওয়ার পর আর মেরামত করে উঠতে পারেনি তারা। মিতালি এর পর পার্টটাইম আর এক বাঁ হাতি স্পিনারকেও আক্রমণে নিয়ে আসেন— একতা বিস্ত। ১০ ওভারে ২৩ রান দিয়ে এক উইকেট নেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ক্রিকেট দলের বোলিং কোচ হতে চান ভেঙ্কটেশ
টনটনের এই মাঠেই একটা সময় রাজ করতেন স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস। সমারসেটের হয়ে কাউন্টি খেলার সময় দুরন্ত সব ইনিংস তিনি খেলেছেন এখানে। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ১৮৩ রানের সেই ঝোড়ো ইনিংসও এখানেই। সেই মাঠেই ভিভের দেশ হারল, সৌরভের দেশ জিতল। এবং, সেই জয়ে ব্যাটিংয়েও নারী-শক্তি ফের দেখালেন স্মৃতি মান্ধানা। ১০৮ বলে ১০৬ রান করলেন তিনি। ভারতের প্রথম ম্যাচেও স্মৃতিই সর্বোচ্চ রান করেছিলেন। স্মৃতির ইনিংসে ১৩টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল। ম্যাচের সেরা তিনিই।
স্মৃতি পরে বললেন, ‘‘নব্বইয়ের ঘরে আমি খুবই নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু আমার পার্টনার মোনা আমাকে খুব সাহস দিয়েছে। বার বার আমাকে বলেছে, উল্টোপাল্টা শট খেলো না।’’ আরও বললেন, ‘‘সেঞ্চুরিটা স্পেশ্যাল কারণ আমরা রান তাড়া করছিলাম আর এটা বিশ্বকাপের ম্যাচ।’’