শ্রেয়সীর বাবা দিগ্বিজয় সিংহ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। মা পুতুল কুমারীও বিহারের প্রাক্তন সাংসদ। তাই ছোট থেকেই রাজনীতির আঙিনায় বড় হয়েছেন তিনি। কিন্তু অনেক ছোট বয়সে বন্দুকের সঙ্গে প্রেম। ধীরে ধীরে রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ও পরে আন্তর্জাতিক স্তরে নিজের নাম করেছেন শ্রেয়সী।
মনোজ তিওয়ারি ও শ্রেয়সী সিংহ ফাইল চিত্র
বিহারের জামুই কেন্দ্রের বিধায়ক তিনি। ৩০ বছর বয়সি তরুণ বিধায়ক এলাকার উন্নয়নের জন্য অনেক কিছু করেন বলে দাবি স্থানীয়দের। তবে বিধায়ক পরিচয়ের বাইরেও একটি পরিচয় আছে তাঁর। তিনি কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের হয়ে সোনা জিতেছেন। ডবল ট্র্যাপে বিশ্বের এক নম্বর শ্যুটার শ্রেয়সী সিংহর নজর এখন বিশ্বকাপে। তা বলে বিধায়ক হিসাবে নিজের কাজে ফাঁকি দিচ্ছেন না তিনি।
শ্রেয়সীর বাবা দিগ্বিজয় সিংহ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। মা পুতুল কুমারীও বিহারের প্রাক্তন সাংসদ। তাই ছোট থেকেই রাজনীতির আঙিনায় বড় হয়েছেন তিনি। কিন্তু অনেক ছোট বয়সে বন্দুকের সঙ্গে প্রেম। ধীরে ধীরে রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ও পরে আন্তর্জাতিক স্তরে নিজের নাম করেছেন শ্রেয়সী।
বিধায়ক শ্রেয়সী ফাইল চিত্র
২০১৩ সালে ট্র্যাপ শ্যুটিং বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন শ্রেয়সী। তবে তাঁর প্রথম পদক আসে তারও তিন বছর আগে। ২০১০ সালে দিল্লিতে কমনওয়েলথ গেমসে সিঙ্গলস ট্র্যাপে রুপো জেতেন তিনি। ২০১৪ সালে কমনওয়েলথ গেমসে রুপো ও সেই বছরই এশিয়ান গেমসে ডবল ট্র্যাপে ব্রোঞ্জ পান শ্রেয়সী। তবে তাঁর সেরা মুহূর্ত আসে ২০১৮ সালের কমনওয়েলথ গেমসে। ডবল ট্র্যাপে সোনা জেতেন শ্রেয়সী। ডবল ট্র্যাপে বিশ্বের এক নম্বর শ্যুটার তিনি।
শ্রেয়সী সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন ২০২০ সালে। যোগ দেন বিজেপি-তে। সে বছরই বিধানসভায় জামুই কেন্দ্রে তাঁকে টিকিট দেয় গেরুয়া শিবির। ৪১ হাজারের বেশি ভোটে জিতে বিধায়ক হন তিনি।
মার্চ মাসে সাইপ্রাসে শুরু হতে চলেছে আইএসএসএফ শটগান বিশ্বকাপ। আপাতত তারই প্রস্তুতি সারছেন তিনি। তাতে অবশ্য সমস্যাও হচ্ছে। শ্রেয়সীর কথায়, ‘‘খুব চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। বিধানসভার মানুষদের জন্য কাজ করা, আবার নিজের প্রস্তুতি নেওয়া, দুটো জিনিস করতে হিমশিম খাচ্ছি।’’ তাঁর আরও সমস্যার কারণ বিহারে একটিও শটগান ট্রেনিং শিবির না থাকা।
সোনাজয়ী শ্রেয়সী ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপের জন্য নাম ঘোষণার পরে টুইট করে সে কথা জানিয়েছিলেন শ্রেয়সী। টুইটে তিনি লেখেন, ‘সবাই বলে সব কিছুর একটা প্রথম থাকে। প্রথম বার বিহারের কোনও বিধায়ক যে বিশ্বের এক নম্বরও বটে, আসন্ন বিশ্বকাপে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবে। পাশে থাকার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।’ বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই অবশ্য ফের নিজের কেন্দ্রে ফিরে কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন শ্রেয়সী।
এর আগে মন্ত্রী হওয়ার পরেও মাঠে দেখা গিয়েছে মনোজ তিওয়ারিকে। পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী তিনি। হাওড়ার শিবপুরের এই বিধায়ক ফের ক্রিকেটে ফিরেছেন। চলতি মরসুমে রঞ্জি ট্রফি খেলবেন বলে প্রস্তুতি নিয়েছেন। বাংলার হয়ে বৃহস্পতিবার বরোদার বিরুদ্ধে রঞ্জি দলে রয়েছেন তিনি। সেই রকমই রাজনীতির সঙ্গে খেলার দুনিয়াতেও দেশের নাম তুলে ধরার জন্য কঠোর অনুশীলন করছেন বিহারের শ্রেয়সী।