কেকেআর জার্সিতে শোয়েব। —ফাইল চিত্র।
কেকেআর-এর জার্সি পরে একবারই আইপিএল খেলেছিলেন তিনি। প্রথম ম্যাচেই চার-চারটি উইকেট নিয়ে নজর কেড়েছিলেন। ১২ বছর আগের সেই ম্যাচ নিয়ে এখনও নস্ট্যালজিক শোয়েব আখতার।
‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ বলেন, “আমি যখন চার উইকেট নিয়েছিলাম, প্রত্যেকে যেন উন্মাদ হয়ে গিয়েছিল। শাহরুখ খান সারা মাঠ জুড়ে দৌড়তে শুরু করে দিয়েছিলেন। আমার মনে হয়েছিল বিশ্বকাপই বুঝি জিতে নিয়েছি। এমনই পরিস্থিতি ছিল ইডেনে। শাহরুখ আমাকে বলেছিল, তুমি একটা কঠিন ম্যাচ আমাদের জিতিয়েছ।”
ইডেন গার্ডেন্সের সেই ম্যাচ শেয়েবের পারফরম্যান্সে ভর করে কেকেআর মাটি ধরিয়েছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে। ১২ বছর আগে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা আইপিএল-এ খেলতে পারতেন। এখনকার মতো পরিস্থিতি ছিল না। ২০০৮ সালের আইপিএল-এ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন কেকেআর-এর ক্যাপ্টেন। তাঁর উদ্যোগেই শোয়েবকে এনেছিল নাইটরা।
আরও পড়ুন: আর দু’-এক জনের উপর নির্ভরশীল নয় দল, বলছেন বাংলার অধিনায়ক
বীরেন্দ্র সহবাগের দিল্লি ডেয়ারডেভিলস-এর বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়েই অভিষেক ঘটেছিল প্রাক্তন পাক পেসারের। ইডেনের সেই ম্যাচে শোয়েব চার ওভার বল করে ১১ রান দিয়ে চার-চারটি উইকেট নিয়েছিলেন। শোয়েবের সেই স্পেল ইডেন মাতিয়েছিল। সে বারের আইপিএল-এ মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেছিলেন প্রাক্তন পাক পেসার। তার পরে নিজেই আর খেলতে চাননি।
সৌরভ সেই ম্যাচ প্রসঙ্গে লিখেছিলেন, ‘‘আমি জানতাম শোয়েবের মারাত্মক গতি ছোট ফরম্যাটে পার্থক্য গড়ে দেবে। সেটাই ঘঠেছিল। বীরেন্দ্র সহবাগের লড়াকু দিল্লি ডেয়ারডেভিলস-কে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস একাই নিকেশ করে দিয়েছিলেন। আনন্দে গর্জন করে উঠেছিল ইডেন। এটা আমাদের অন্যতম স্মরণীয় জয় ছিল।’’
সেই মরসুমে শোয়েব খেলেছিলেন মাত্র তিনটি ম্যাচ। তাঁকে সামলানো যে কতটা কঠিন তা লিখেছেন স্বয়ং সৌরভ, ‘‘আমি যা ভেবেছিলাম তার থেকেও কঠিন ছিল শোয়েবকে সামলানো। তিনটি ম্যাচ খেলার পরে হঠাৎই ও সিদ্ধান্ত নিল আর খেলবে না। আমি বহুবার ওকে অনুরোধ করি। কিন্তু ও শোনেনি।’’
আরও পড়ুন: সাই-তে ট্রায়ালে আসছেন ‘বোল্টের রেকর্ড ভাঙা’ শ্রীনিবাস