আদালতে সার্জিল খান। ছবি: এএফপি।
বুধবারই পাকিস্তানের অ্যান্টি কোরাপশন ট্রাইবুনাল সার্জিল খানকে পাঁচ বছরের নির্বাসনের সাজা শুনিয়েছে। কিন্তু তিনি এই সাজার বিরুদ্ধে আবেদন জানাতে পারেন। সেই মতো নির্বাসনের বিরুদ্ধে আবেদন জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সার্জিল। তাঁর পক্ষের উকিল সাইঘান ইজাজ বলেন, ‘‘আমরা নির্বাসনের বিরুদ্ধে আবেদন জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু কী কী বিষয়ের উপর দাঁড়িয়ে সেই আবেদন জানানো হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন
বিরাট-রোহিতের সেঞ্চুরি, রানের পাহাড়ে ভারত
অস্ট্রেলিয়া বলেই শুধু জয় নয়, জবাবও
সার্জিলের বিরুদ্ধে তিনটি বড় অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে সব থেকে বড় স্পট ফিক্সিং। পাকিস্তান সুপার লিগে তাঁর বিরুদ্ধে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। সার্জিল তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, ওঁ সারাজীবন স্পট ফিক্সারের তকমা নিয়ে চলতে পারবেন না। তাই তিনি শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালাতে চান। এর সঙ্গে ক্রিকেট বোর্ডকেও তিনি জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তে তিনি খুশি নন। তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন, যেখানে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তথ্য-প্রমাণ জমা দিতে পারেনি তখন কী ভাবে শাস্তি হয় সার্জিলের। বরং সার্জিল তাঁর দোষ স্বীকার করে নিয়েছিলেন।
এই বছর ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে নির্বাসিত রয়েছেন এই পাক ক্রিকেটার। সেই সময় তাঁকে সাময়িকভাবে নির্বাসিত করেছিল বোর্ড। দুবাই থেকে তাঁকে দেশে ফেরতও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সার্জিলের উকিলের দাবি, সার্জিল কোনও টাকা-পয়সার লেনদেন করেননি। সে সব প্রমাণ না থাকাটা বড় হাতিয়ার এখন সার্জিলের কাছে।