ছ’বছর বার্সোলোনার জার্সিতে সাফল্য কম পাননি। বিখ্যাত স্প্যানিশ ক্লাবের তিনি অন্যতম জনপ্রিয় তারকা। বলতে গেলে কাতালান ক্লাবের অন্যতম মুখই হয়ে উঠেছেন গত কয়েক বছরে। সেই বার্সেলোনাই ছাড়তে চাইছিলেন তিনি জেরার পিকে। কিন্তু পারলেন কোথায়!
পত্রপাঠ ম্যান ইউয়ে যাওয়ার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন তাঁর বান্ধবী শাকিরা। কলম্বিয়ার পপ তারকার আপত্তির কারণ পারিবারিক। বার্সেলোনাতেই তিনি পরিবার সহ থাকতে চান। সন্তানকে বড় করতে চান সেখানেই। তাই পিকের ম্যান ইউতে যাওয়ার প্রস্তাবে তাঁর বেঁকে বসা। কিন্তু কেন পিকে হঠাৎ বার্সা ছাড়তে চাইছিলেন?
শোনা যাচ্ছে, পিকে বার্সা কোচ লুই এনরিকের উপর অসন্তুষ্ট। এই মরসুমে স্প্যানিশ ক্লাবে সই করা জেরেমি ম্যাথুকে রবিবার লেভান্তের বিরুদ্ধে ম্যাচে তাঁর জায়গায় নামিয়েছিলেন এনরিকে। তাতে নাকি বেজায় চটে গিয়েছেন তিনি। ম্যান ইউ-র সঙ্গেও পিকের সম্পর্ক নতুন নয়। ১৭ বছর বয়েসে ম্যান ইউতেই যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ২০০৮-এ ন্যু কাম্পে চলে আসেন ৫ মিলিয়ন পাউন্ডে। লুই ফান গালও মরিয়া হয়ে আছেন টিমের রক্ষণ আরও শক্তিশালী করার জন্য। পিকের জন্য ম্যান ইউ তাই যথেষ্ট আগ্রহী ছিল বলেই শোনা যাচ্ছে। তা ছাড়া ফান গল ব্যক্তিগত ভাবেও পিকেকে ১৩ বছর বয়স থেকেই চেনেন। পিকের ঠাকুর্দার সঙ্গে আলাপ থাকার সূত্রে। তাও ‘রেড ডেভিল’-দের সঙ্গে যোগ দিতে পারলেন কোথায়!
পিকের অখুশি হওয়ার ব্যাপারটা কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছেন বার্সা কোচও। তাই স্প্যানিশ মিডিয়ায় পিকের ক্লাব ছাড়ার জোর জল্পনা ছড়ানোর পর মঙ্গলবার তিনি তাঁর প্রশংসাও করেন। বলে দেন, “পিকের সঙ্গে আমার কোনও সমস্যা নেই। ওর ব্যবহার দারুণ। প্রচুর পরিশ্রম করে। তা ছাড়া ও খুব আমুদে। হাসিখুশি থাকতে ভালবাসে। যে ব্যাপারটা আমি খুব পছন্দ করি।” সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “পিকে খুব দ্রুত কোমরের চোট সারিয়ে ওঠার পথে।”
ঠারেঠোরে এনরিকে বলে দেন যে, চোটের জন্যই ম্যাচের বাইরে রাখা হয়েছিল পিকেকে। এ ছাড়া অন্য কোনও কারণ নেই। এক মাস পরেই এল ক্লাসিকো। রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি এখন থেকেই তুঙ্গে বার্সার। এই সময়ে টিমে কোনও অসন্তোষ ছড়াক, সেটা চাইছে না বার্সা। তাই তড়িঘড়ি পিকেকে সন্তুষ্ট করতে ময়দানে নেমে পড়া এনরিকের বলে মনে করা হচ্ছে।