বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এমসিসি বিশ্ব ক্রিকেট কমিটিতে জায়গা করে নিলেন সাকিব আল হাসান। আর এর মধ্য দিয়ে অনন্য এক উচ্চতায় পৌঁছালেন, ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে আইসিসি র্যাদঙ্কিংয়ে তিন ফরম্যাটেই শীর্ষ অলরাউন্ডার হওয়ার গৌরব অর্জনকারী এই ক্রিকেটার। এমসিসির ১৫ সদস্যের এ কমিটিতে সাকিব ছাড়া রয়েছেন মাইক গ্যাটিং, রিকি পন্টিং, কুমার সাঙ্গাকারা, সৌরভ গাঙ্গুলি, ইয়ান বিশপ ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের মতো প্রাক্তনরা।
এ বার কমিটির চেয়ারম্যান ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইক গ্যাটিং। বিদায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাইক ব্রিয়ারলির জায়গা নিলেন তিনি। এর আগে চিঠি দিয়ে সাকিবকে ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটির সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার খবর জানায় এমসিসি। তাঁর এ সদস্যপদ কার্যকর হয়েছে ১ অক্টোবর থেকে। ভীষণ সম্মানজনক এই সদস্যপদ পেয়ে উচ্ছ্বসিত সাকিব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, ‘এমসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটির সদস্য হিসেবে বেছে নেওয়ায় সত্যিই সম্মানিত বোধ করছি। আমাকে এমন সম্মান দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।’
লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের স্বত্বাধিকারী এমসিসি বিশ্ব ক্রিকেটের আইন প্রণয়নে নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। ১৭৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এমসিসির ভাবনা থেকেই ২০০৬ সালে যাত্রা শুরু করে বিশ্ব ক্রিকেট কমিটি। স্বাধীন এ কমিটি বছরে দু’বার সভায় বসে ক্রিকেটের ভাল-মন্দ সুপারিশ করে থাকে আইসিসি-কে। এ সব সুপারিশ বাস্তবায়ন হয় আইসিসির অনুমোদন সাপেক্ষে। এর আগে ব্যাটের সাইজ ও আচরণবিধি পরিবর্তনের সুপারিশ করেছিল বিশ্ব ক্রিকেট কমিটি, যা বাস্তবায়ন করেছে আইসিসি।
আরও পড়ুন:
‘নিজের শহর বাদে সবই তো অ্যাওয়ে’: শাস্ত্রী
ভারতীয় ফুটবল দলের জার্সি চাইলেন রাহুল
প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটারদের পাশাপাশি আম্পায়ারদের নিয়ে গঠন করা হয় এ কমিটি। ক্রিকেট ইতিহাসে মাঠ এবং মাঠের বাইরে সেরা কিছু নাম এর আগে অলঙ্কৃত করেছেন ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটি। আম্পায়ারদের মধ্যে যেমন ছিলেন ডেভিড শেফার্ড। প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মধ্যে ছিলেন ব্যারি রিচার্ডস, মার্টিন ক্রো, স্টিভ ওয়াহ, মাইক আথারটন, জিওফ্রে বয়কটের মতো স্বনামধন্য ক্রিকেটাররা। সেই তালিকায় এবার জুড়ল সাকিবের নাম।