মোহনবাগান আইএসএলে খেললে ক্লাবের অন্যতম মালিক হিসাবে দেখা যেতে পারে শাহরুখ খানকে। বহু দিন ধরে চলা এই গুঞ্জন হঠাৎ-ই মঙ্গলবার জোরালো ভাবে ভাসতে শুরু করল। তার কারণ এত দিন সবুজ-মেরুন কর্তারা পুরোপুরি অস্বীকার করলেও এ দিন তাঁরা সুর কিছুটা নরম করেছেন। যাঁর উদ্যোগে কেকেআর মালিকের কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে খবর, সেই বাগান সহ সচিব সৃঞ্জয় বসু এ দিন বলে দিলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে অনেকেরই আলোচনা চলছে। এখনও তো আমরা সরকারি ভাবে জানি না আইএসএল খেলতে পারব কি না। তবে এটা বলছি, কোনও খবরই আমরা অস্বীকার করছি না।’’
আইপিএলে ক্রিকেট টিম কেনার পর আইএসএলের একটি ফুটবল টিমের মালিক হওয়ার জন্য প্রচণ্ড আগ্রহী শাহরুখ। আইএসএল শুরুর সময় আটলেটিকো দে কলকাতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কলকাতার টিম কেনার জন্য বিড-ও জমা দিয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, আইএসএলের মালিক অম্বানিদের সঙ্গে আলোচনায় বসার পর টুনার্মেন্টের পরিকাঠামো এবং টাকা খরচের নানা দিক জেনে আর এগোয়নি শাহরুখের কোম্পানি। তারা শেষ পর্যন্ত বিড তুলে নেয়। ২০১৭-১৮ তে কলকাতার দুই প্রধানের ফের আইএসএলে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। এই অবস্থায় আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে শাহরুখের কোম্পানি। জানা গিয়েছে, বাগানের দুই কর্তা সহ-সচিব সৃঞ্জয় এবং অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত বেশ কয়েক বার কথা বলেছেন শাহরুখের কোম্পানি রেড চিলিজের সি ই ও বেঙ্কি মাইসোরের সঙ্গে। তাতে শতবর্ষের ক্লাবের মালিক হওয়ার ব্যাপারে শাহরুখ এগিয়ে আছেন এটা অবশ্য নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কারণ এর আগে ব্যাডমিন্টন এবং অন্যান্য ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে শাহরুখের কোম্পানি কথা বললেও তা ফলপ্রসু হয়নি। কারণ আর্থিক ব্যাপারে নিশ্চিয়তা না পেলে তারা এগোতে চান না।
গত কয়েক বছরের স্পনসর ম্যাকডাওয়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর বাগান কর্তারা নতুন স্পনসরের খোঁজ করছেন। অনেকের সঙ্গেই তাঁদের কথা চলছে। সৃঞ্জয় বললেন, ‘‘যেই আমাদের সঙ্গে আসুক তাকে তো আইএসএলের পরিকাঠামো সম্পর্কে জানতে হবে। প্রয়োজনীয় অর্থ তারা খরচ করতে পারবে কি না সেটা নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে। সেটা চূড়ান্ত হলে তবেই তো মোহনবাগানের সঙ্গে চুক্তি হবে। তা ছাড়া আইএসএলে খেলার প্রস্তুতির ব্যাপারটাও আছে।’’
জানা গিয়েছে, শাহরুখের কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে এখনও পুরোপুরি আশাবাদী হতে পারেননি বাগান কর্তারা। কিংগ খান কত দূর সাহায্য করতে এগোবেন তা নিয়ে তাদের মনে সন্দেহ রয়েছে।