উল্লাস: টানা ন’বার লিগ চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস। উচ্ছ্বসিত রোনাল্ডোরা। টুইটার
করোনা অতিমারির কারণে সাময়িক ভাবে স্থগিত হয়ে যাওয়া সেরি ‘আ’ এবং লকডাউনের পরে নতুন ভাবে লিগ শুরু হওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান ছিল প্রায় সাড়ে তিন মাসের। কিন্তু এই দীর্ঘ বিরতিতেও বদলায়নি জুভেন্টাসের মানসিকতা। এই নিয়ে টানা ন’বার সেরি ‘আ’ খেতাব জয় আবারও স্পষ্ট করে দিল, ইটালি ক্লাব ফুটবলে ‘ওল্ড লেডি’ এখনও শেষ কথা।
এবং রবিবার ফাঁকা আলিয়ানজ স্টেডিয়ামে তিনি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ফের প্রমাণ করলেন বয়সটা ৩৫ হয়ে গেলেও আগের মতোই মাঠে নামলে গোল করার জন্য ছটফট করেন। ম্যাচে জুভেন্টাস জিতল ২-০। প্রথমার্ধের সংযুক্ত সময়ে মিরালেম পিয়ানিচের বাড়ানো বল না থামিয়েই জোরালো শটে তা জালে জড়িয়ে দেন রোনাল্ডো। চলতি সেরি ‘আ’তে এই নিয়ে ৩১ গোল হল সি আর সেভেনের। তবে পেনাল্টি মিস করে তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতার গোল্ডেন বুটের দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছেন। লাজ়িয়োর সিরো ইমমোবিলের চেয়ে তিন গোল পিছিয়ে সি আর সেভেন। ইমমোবিলে রবিবার হ্যাটট্রিক করেছেন। আর একটিই ম্যাচ বাকি রয়েছে রোনাল্ডোদের। তবে মধ্য তিরিশের রোনাল্ডোর ভয়ঙ্কর মেজাজে মুগ্ধ ম্যানেজার মৌরিসিয়ো সারিও! যিনি সব চেয়ে বেশি বয়সের ম্যানেজার হিসেবে ইটালীয় লিগ জিতলেন। ৬১ বছরের সারি এবং তাঁর দল আগামী রবিবার ট্রফি হাতে পাচ্ছেন রোমার সঙ্গে শেষ ম্যাচের পরে। সারি বলছেন, “আমার মনে হয় ক্রমাগত গোল করার ব্যাপারটা রোনাল্ডোর মজ্জায় রয়েছে। না হলে একটা ছেলে কী করে একের পর এক ম্যাচে টানা গোল করার জন্য নিজেকে এত ক্ষুধার্ত রাখতে পারে! ওর শারীরিক এবং মানসিক গঠন সম্পূর্ণ অন্য ধাঁচের।” ৬৭ মিনিটে জুভেন্টাসের হয়ে ব্যবধান বাড়িয়ে যান ফেদেরিকো বেরনারদিস্কি।
ইনস্টাগ্রামে রোনাল্ডো লিখেছেন, “টানা দ্বিতীয় বার আমি জুভেন্টাসের সঙ্গে থেকে চ্যাম্পিয়ন হলাম। এই ঐতিহাসিক ক্লাবের সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরে গর্বিত। এই খেতাব উৎসর্গ করব সব ভক্তদের উদ্দেশে। বিশেষ করে যারা অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন বা এখনও করে চলেছেন। অতিমারি সারা বিশ্বকে চমকে দিয়ে দুনিয়াটাকেই পাল্টে দিয়েছে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘কাজটা সহজ ছিল না। আপনাদের সাহস, সমর্থন, প্রতিজ্ঞা ছাড়া কিছুই সম্ভব ছিল না। এই ট্রফি পুরো ইটালির। সকলকে আলিঙ্গন।’’