পুরুষদের সার্কিটে খেললে ৭০০ র‌্যাঙ্ক হত সেরিনার, মত ম্যাকেনরোর

ম্যাকেনরো বলে দিলেন, সেরিনা মেয়েদের টেনিসের সর্বকালের সেরা ঠিকই, কিন্তু পুরুষদের সার্কিটে খেললে ৭০০ র‌্যাঙ্ক করত। যা নিয়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটে ঝড় উঠেছে। অনেকেই ম্যাকেনরো-কে নারী বিদ্বেষী অ্যাখ্যা দিতে ছাড়েননি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৭ ১২:৩০
Share:

ফের বিতর্কে ম্যাকেনরো।

খেলোয়াড় জীবনে তাঁকে নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। টেনিস র‌্যাকেট তুলে রাখলেও তিনি যখনই মুখ খুলেছেন, কোনও না কোনও বিতর্ক হয়েছে। জন ম্যাকেনরো মানে কোনও না কোনও ভাবে সংবাদের শিরোনামে। সোমবার যেমন সেরিনা উইলিয়ামস নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্ক উস্কে দিলেন মার্কিন টেনিস কিংবদন্তি।

Advertisement

ম্যাকেনরো বলে দিলেন, সেরিনা মেয়েদের টেনিসের সর্বকালের সেরা ঠিকই, কিন্তু পুরুষদের সার্কিটে খেললে ৭০০ র‌্যাঙ্ক করত। যা নিয়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটে ঝড় উঠেছে। অনেকেই ম্যাকেনরো-কে নারী বিদ্বেষী অ্যাখ্যা দিতে ছাড়েননি।

নিজের বই ‘বাট সিরিয়াসলি’-র প্রচারে এসে ম্যাকেনরো বলেন, ‘‘সেরিনা যে সর্বকালের সেরা মেয়ে টেনিস প্লেয়ার, তা নিয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু ও যদি পুরুষদের সার্কিটে খেলত, তা হলে অবশ্য ব্যাপারটা একটু অন্য রকম হতো। আমার মনে হয়, সেরিনার র‌্যাঙ্ক সে ক্ষেত্রে ৭০০ মতো হতো।’’

Advertisement

সেরিনা ছাড়াও আরও একটা ব্যাপার নিয়ে মন্তব্য করেছেন ম্যাকেনরো। তিনি মনে করছেন, এখনকার টেনিস খেলোয়াড়দের মধ্যে সেই রাগটা আর দেখা যায় না। যেটা না থাকলে সফল হওয়া কঠিন। ম্যাকেনরো মনে করেন, এই প্রজন্মের দুই সেরা খেলোয়াড়— রজার ফেডেরার, রাফায়েল নাদালের বিরুদ্ধে খেলতে নামলে তীব্র রাগ এবং ঘৃণাটাও কোর্টে নিয়ে আসতে হবে। ‘‘নাদাল বা ফেডেরারের বিরুদ্ধে ব্যর্থ হলে বাকিদের চুপচাপ সেটা মেনে নিলে চলবে না। নিজেদের ওপর রেগে যেতে হবে। যে রাগটা কোর্টে ফুটিয়ে তুলতে হবে। সেরাদের বিরুদ্ধে খেলতে নামলে সব কিছু নিয়ে ঝাঁপাতে হয়।’’ ম্যাকেনরো মনে করেন, তাঁর এই মনোভাব তাঁকে শীর্ষে উঠতে সাহায্য করেছে। জিমি কোনর্স বা ইভান লেন্ডলের সঙ্গে হেরে গেলে কোর্ট থেকে লকাররুম— সর্বত্র গরগরে রাগ আর ঘৃণা নিয়ে ঘুরতেন তিনি। ম্যাকেনরো মনে করেন, এখনকার প্রজন্মের প্লেয়াররা ফেডেরার-নাদালের টেনিস নিয়ে বেশি শ্রদ্ধাশীল হয়ে পড়ছেন বা তাঁদের ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন। সাফল্য পেতে গেলে এক জন খেলোয়াড়ের মধ্যে যে রাগী মেজাজটা থাকা দরকার, তা আর দেখা যাচ্ছে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement