প্রস্তুতি: রোমে অনুশীলন চলছে সেরিনার। সোমবার।
টোকিয়ো অলিম্পিক্সে অনিশ্চিত সেরিনা উইলিয়ামস। এমন আশঙ্কার ইঙ্গিত দিলেন কিংবদন্তি টেনিস তারকা স্বয়ং। এ’সপ্তাহেই তাঁর ইটালীয় ওপেনে খেলার কথা। তার আগে অলিম্পিক্স আয়োজকদের কিছুটা হলেও হতাশ করলেন সেরিনা।
সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হলেও ৩৯ বছর বয়সি তারকা জানাচ্ছেন, মেয়ে অলিম্পিয়াকে ছেড়ে দীর্ঘ সময় টোকিয়োয় থাকা তাঁর পক্ষে প্রায় অসম্ভব। সেরিনার মন্তব্য, ‘‘আমি তো ওকে ছেড়ে ২৪ ঘণ্টাও কখনও থাকি না।’’ অস্ট্রেলীয় ওপেনের সেমিফাইনালে নেয়োমি ওসাকার কাছে হেরে বিদায় নেওয়ার পরে কোনও প্রতিযোগিতায় তিনি খেলেননি। এখন দেখার, অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণের ব্যাপারে শেষপর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেন। সেরিনা বলেছেন, ‘‘অলিম্পিয়াকে ছেড়ে একদিনও যখন কোথাও থাকি না, তখন টোকিয়োয় আমার যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নের কী উত্তর হতে পারে, সেটা আশা করি সবাই বুঝতে পারছেন।’’
দিদি ভিনাসের মতো সেরিনারও চারটি অলিম্পিক্স সোনা রয়েছে। তাই এই বয়সে গ্র্যান্ড স্ল্যাম নিয়েই তাঁর উৎসাহটা বেশি। কারণ এখনও তাঁর পাখির চোখ মার্গারেট কোর্টের ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড স্পর্শ করা। তাই ফরাসি ওপেনের জন্য দারুণ প্রস্তুতিও নিয়েছেন। ইটালিতে খেলাও সেই প্রস্তুতিরই অঙ্গ।
সেরিনা আরও বলেছেন, ‘‘সত্যি কথা বলতে, আমি টোকিয়োতে খেলার ব্যাপারে সে ভাবে কিছু ভাবিনি। তার একটা কারণ গেমস গত বছরই হওয়ার কথা ছিল। পিছিয়ে গিয়ে এই বছরে হচ্ছে। তা ছাড়া অতিমারির ব্যাপারটাও আছে। তাই আমাকে অনেক দিক ভেবে যা করার করতে হবে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘আমি তো বেশি করে গ্র্যান্ড স্ল্যামেই খেলতে চাই। তার মধ্যে অলিম্পিক্সে যাওয়া বোধহয় একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে।’’ রোমের প্রতিযোগিতা নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘মাঝখানে অনেক দিন খেলিনি। পুরোপুরি নতুন ভাবে শুরু করাটা একদিক থেকে ভাল। রোমে কয়েকটা ভাল ম্যাচ খেলতে চাই। তার পরে তো ফরাসি ওপেন আছে। কে না জানে, গ্র্যান্ড স্ল্যামে খেলা নিয়ে আমি সবসময়ই উত্তেজিত পয়ে পড়ি। এখন প্যারিসে ভাল কিছু করাই লক্ষ্য। অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে চাই না।’’
সেরিনা তাঁর শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতেন ২০১৭-তে অস্ট্রেলীয় ওপেন। সেটা ছিল তাঁর ২৩ নম্বর ‘মেজর’। তার পরেই সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য টেনিস থেকে ছুটি নেন। পরে সার্কিটে ফিরে আর গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে পারেননি। এবং তাতে জল্পনা শুরু হয়, যে কোনও সময় তিনি নাকি অবসর নিতে পারেন। সেরিনা অবশ্য এই ধরনের আলোচনাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাঁর মন্তব্য, ‘‘সত্যি বলতে, আমাকে নিয়ে কোথায় কে কী বলছে, তা নিয়ে আর মাথা ঘামাই না। আমার মনে হয় এ সব নিয়ে ভাবলে একজন মানুষ আরও আড়ষ্ট হয়ে যায়। তবে এখনও খেলে যাচ্ছি বলে লোকে অবাক হলে, বেশ মজা পাই। মনে রাখবেন, আমার কিছু নিজস্বতাও আছে। ভবিষ্যতে কী করব, কখনও তা সবাইকে সব সময় জানাই না। আমি কী ভাবছি, তা অন্যদের পক্ষে বোঝা তাই বেশ কঠিন।’’