ফাইল চিত্র।
থুতু লাগিয়ে বলে পালিশ করার দৃশ্য ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে অতি পরিচিত। কিন্তু করোনা পরবর্তী বিশ্বে থুতু ব্যবহার করে বল পালিশ করার দৃশ্য আর দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। যে সম্ভাবনা নিয়ে আগেই জানিয়েছিলেন ভারতীয় পেসার মহম্মদ শামি। আনন্দবাজারেই একান্ত সাক্ষাৎকারে এ বিষয়টি তুলে ধরেন শামি। এ বার সেই সম্ভাবনা উস্কে দিলেন তিন প্রাক্তন পেসার জেসন গিলেসপি, বেঙ্কটেশ প্রসাদ ও প্রবীণ কুমার।
সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে প্রসাদ বলেছেন, “ক্রিকেট শুরু হওয়ার পরে, প্রথম কয়েক মাস থুতুর পরিবর্তে ঘাম ব্যবহার করে পালিশ করা যেতে পারে বল। শুরুর দিকে ঝুঁকি না নেওয়াই ভাল।” কিন্তু এখানে সমস্যা একটাই। প্রত্যেক ক্রিকেটারের ঘামের পরিমাণ সমান নয়। সে ক্ষেত্রে প্রসাদের বক্তব্য, “দলে যে বেশি ঘামবে, তাকেই দায়িত্ব নিতে হবে বল পালিশ করার। অনেকেই কম ঘামে। যেমন আমারই সে রকম ঘাম হয় না। কিন্তু রাহুল দ্রাবিড় প্রচণ্ড ঘামতো।”
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ বাতিল হওয়ার আগে নাকি এ বিষয়ে ভারতীয় ড্রেসিংরুমেও আলোচনা হয়েছে। ভুবনেশ্বর কুমার নিজেই নাকি এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন ড্রেসিংরুমে। কিন্তু সিরিজ বাতিল হওয়ায় সে সবের প্রয়োজন হয়নি। প্রাক্তন পেসার প্রবীণ কুমারও থুতুর ব্যবহার কমানোর বিষয়ে একমত। তিনি বলেছেন, “ক্রিকেট শুরু হওয়ার পরে প্রথম কয়েক মাস থুতুর ব্যবহার একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া উচিত। না হলে সমস্যা বাড়তে পারে।” যোগ করেন, “আমি কিন্তু বল সমানে পালিশ করতাম বলেই এত সুইং পেতাম। অফস্পিনারেরাও বল পালিশ করে হাওয়ায় বলকে নড়াচড়া (ড্রিফ্ট) করানোর জন্য। কিন্তু এখন ঘাম দিয়ে বল পালিশ করাকেই প্রাধান্য দিতে হবে।” প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় পেসার জেসন গিলেসপি নিশ্চিত নন, শুধু ঘাম দিয়ে বল পালিশ করা যাবে কি না। তাঁর কথায়, “থুতু দিয়ে পালিশ করলে বল থেকে যে সাহায্য পাওয়া যায়, সেটা কি ঘাম দিয়ে পাওয়া যাবে? আমার জানা নেই।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)