প্রত্যয়ী: ভারতীয় হকি দলের উপরে আস্থা সর্দারের। ফাইল চিত্র
ভারতীয় হকি দলের জার্সি গায়ে অলিম্পিক্সে পদক জয়ের স্বপ্ন পূর্ণ না হওয়ার আক্ষেপ রয়েছে তাঁর। তবে ভারতের সেই অলিম্পিক্স পদক-খরা টোকিয়োতে কাটতে পারে বলে মনে করছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সর্দার সিংহ।
তাঁর আশা, মনপ্রীত সিংহের নেতৃত্বাধীন বর্তমান ভারতীয় হকি দল চার দশক পরে টোকিয়ো থেকে অলিম্পিক্সের পদক নিয়ে ফিরতে পারেন। সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেছেন, ‘‘ভারতীয় দলের একজন হকি খেলোয়াড় হিসেবে আমার জীবনটা সফল মনে করি। আমার সময়েই খুব কাছ থেকে জাতীয় দলের পুনরুত্থান দেখেছি। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক্সে আমরা শেষ স্থানে ছিলাম। কিন্তু ২০১৮ সালে আমি যখন অবসর নিলাম, তখন বিশ্ব হকিতে ভারত ৬ নম্বরে উঠে এসেছে।’’ উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে পাকিস্তানকে এশিয়ান গেমসে হারিয়ে ১৬ বছর পরে সোনাজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন তিনিও।
সর্দার বলেছেন, ‘‘বর্তমানে ভারত বিশ্বের চার নম্বর দল। এতে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। বিশেষ করে অলিম্পিক্স পদক জয়ের লড়াইয়ে।’’
অলিম্পিক্স হকিতে আট বার সোনা জয় ছাড়াও ভারত এক বার রুপো ও দু’বার ব্রোঞ্জও পেয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক কালে অলিম্পিক্স থেকে ভারতের প্রাপ্তি শূন্য। শেষ বার ভারতীয় দল হকির পদক পেয়েছিল চার দশক আগে। ১৯৮০ সালে মস্কো অলিম্পিক্সে। সে বার সোনা জিতেছিল ভারত।
৩৪ বছরের প্রাক্তন ভারতীয় তারকা বলছেন, ‘‘জাতীয় দলের হয়ে ৩১৪টি ম্যাচ খেললেও অলিম্পিক্স পদক না পাওয়ার আক্ষেপ রয়েই যাবে।’’ তবে বর্তমান দলের প্রতি সর্দারের আস্থা প্রবল। যোগ করেছেন, ‘‘বছরের শুরুতে এফআইএইচ হকি প্রো-লিগে ভারতের দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখার পরে মনে হচ্ছে টোকিয়ো থেকে ভারতের পদক পাওয়ার ভাল
সম্ভাবনা রয়েছে।’’
করোনা অতিমারির কারণে অলিম্পিক্স এক বছর পিছিয়ে যাওয়া আশীর্বাদ হিসেবেই দেখছেন এই প্রাক্তন খেলোয়াড়। তাঁর কথায়, ‘‘নতুন প্রতিভা যেমন খুঁজে দলে অন্তর্ভুক্ত করার সময় পাওয়া যাবে, তেমনই নিজেদের ছোটখাটো ভুলভ্রান্তিগুলোও শুধরে নিতে পারবে মনপ্রীতরা।’’ যোগ করেন, ‘‘রাজকুমার, দিলপ্রীত, বিবেক সাগর, গুরসাহিবরা দারুণ প্রতিভাবান। প্রো-লিগের ম্যাচে ওদের ব্যবহার করে সাহসটা বাড়িয়ে দিয়েছেন কোচ গ্রাহাম রিড। ফলে আমার মনে হচ্ছে, টোকিয়ো অলিম্পিক্স হকিতে ভারতীয় দল কাউকে হতাশ করবে না।’’
করোনা অতিমারির কারণে এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে হকি বন্ধ রয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে জাতীয় খেলোয়াড়দের মনঃসংযোগ যেন নষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতেও পরামর্শ দিয়েছেন সর্দার। তাঁর কথায়, ‘‘অলিম্পিক্সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার মতো বড় সম্মান মিলবে না। তাই প্রস্তুতিতে খামতি রাখা চলবে না। মনোবল ধরে রাখতে হবে।’’