অনুশীলনে মগ্ন সন্দেশ।
আইএসএলের দুটো ফাইনাল তিনি খেলেছেন কেরল ব্লাস্টার্সের জার্সিতে। কিন্তু ভাগ্য তাঁর বিরূপ। তাই ট্রফি ছোঁয়া হয়নি একবারও। ট্রফি জিততেই এ বার কেরল ছেড়ে কলকাতায় জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার সন্দেশ সন্দেশ ঝিঙ্গান।
শুক্রবার সবুজ-মেরুন জার্সি পরে মাঠে নামছেন তিনি। তার আগে সন্দেশ বলছেন, “ফাইনালে দু' বার উঠেও চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার আক্ষেপ সব ফুটবলারেরই থাকে। আমারও রয়েছে।” সেই কারণেই এ বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে ট্রফি ছুঁতে চাই। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন এবং এই মরসুমে এএফসি কাপে ভাল ফল করাও লক্ষ্য সন্দেশের।
আইএসএলের প্রথম মরসুম থেকেই কেরল ব্লাস্টার্সের জার্সিতে খেলেছেন সন্দেশ। এ বছর জার্সির রং বদলেছে সন্দেশের। ২০ নভেম্বর পুরনো দলের বিরুদ্ধে নামছেন তিনি। কেরলের কোচ বদল হয়েছেন। মোহনবাগানকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন করা কোচ কিবু ভিকুনার হাতে এখন কেরল ব্লাস্টার্সের রিমোট কন্ট্রোল। আগের থেকে কতটা বদলেছে কেরল ব্লাস্টার্স? কতটা শক্তিশালী তাঁরা? কেরল ব্লাস্টার্সের শক্তি-দুর্বলতা নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি সন্দেশ। তিনি বলেন, “ওদের দল কেমন হয়েছে, তা ওদের কোচ ও ম্যানেজমেন্ট বলতে পারবেন।”
আরও পড়ুন: ‘রোনাল্ডো, নেমাররাও চলে গিয়েছে মেসি চলে গেলেও কিছু বদলাবে না’, মন্তব্য লা লিগার প্রেসিডেন্টের
আইএসএলের প্রথম সংস্করণে কেরলকে হারিয়ে হাবাস ট্রফি জিতেছিলেন। গত বার কেরলের কাছে দুটো ম্যাচই হারতে হয়েছিল এটিকে-কে। যদিও গতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এটিকে। আসন্ন লড়াইয়ের আগে সন্দেশ বলছেন, “প্রথম ম্যাচে তিন পয়েন্ট পেতে চাই। সব ম্যাচের মতো কেরল ম্যাচেও জিততে চাই।”
প্রথম ম্যাচের মতো ডার্বি জিততেও মরিয়া তিনি। কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচের পরেই ইস্টবেঙ্গলের সামনে এটিকে-মোহনবাগান। সেই ম্যাচ প্রসঙ্গে সন্দেশ বলছেন, “কলকাতার ডার্বি আমার মতে, প্রচারে এবং প্রভাবে বিশ্বের তৃতীয় সেরা ডার্বি। এই ম্যাচ সম্পর্কে জানে না বা দেখেনি এরকম ভারতীয় ফুটবলার কেউ নেই। সবাই এই ম্যাচ খেলতে চায়। এবং জীবনের প্রথম ডার্বিতে খেলার সুযোগ পেলে তিন পয়েন্ট নিয়েই ড্রেসিং রুমে ফিরতে চাই। সবুজ-মেরুন সমর্থকদের কাছে এই ম্যাচের গুরুত্ব বিশাল। সেটা মাথায় রেখেই আমাদের মাঠে নামতে হবে। কেরল ম্যাচের মতোই ডার্বি জিতলে শুরুটা ভালই হবে।”