Sanath Jayasuriya

ছন্দপতন, সময়ের আগেই মাঠ ছাড়লেন জয়সূর্য

তিনি মঞ্চে আসা থেকে মাঠে ঘোরা পর্যন্ত তাঁকে ঘিরে জমাট বেঁধে থাকল ভিড়। তার সঙ্গে যোগ হল নিজস্বীর জন্য হুড়োহুড়ি, হাত ধরে টানাটানি ও ঠেলাঠেলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৩৫
Share:

ভিড় বাঁচিয়ে ক্রিকেট তারকাকে বের করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। রয়েছেন পুরপ্রধানও। রবিবার রাতে। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

সনৎ জয়সূর্যকে ঘিরে উচ্ছ্বাসে কিছুটা হলেও তাল কাটল বিশৃঙ্খলা।

Advertisement

রবিবার খড়্গপুরের বিএনআর ময়দানে চেয়ারম্যানস ট্রফির ফাইনালের প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক সনৎ জয়সূর্য। তিনি মঞ্চে আসা থেকে মাঠে ঘোরা পর্যন্ত তাঁকে ঘিরে জমাট বেঁধে থাকল ভিড়। তার সঙ্গে যোগ হল নিজস্বীর জন্য হুড়োহুড়ি, হাত ধরে টানাটানি ও ঠেলাঠেলি। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছয় যে জয়সূর্যের চোখেমুখেও অস্বস্তির ছাপ ধরা পড়ে। রাত ৯টা নাগাদ মাঠে ঢুকলেও ফাইনাল শুরুর আগেই ১০টায় মাঠ ছেড়ে আইআইটির অতিথিনিবাসে ফিরে যান এই বিশ্বকাপজয়ী তারকা। সাধারণত প্রতিযোগিতায় ফাইনালের প্রধান অতিথিই চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন। এবার সেটা হয়নি। তাতে কিছুটা ছন্দপতনও হয়। জয়সূর্য আগেই মাঠ ছাড়ায় ফাইনালের বিজয়ী দলকে ট্রফি তুলে দেন পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার। জয়সূর্যর হাত থেকে ট্রফি না পেয়ে চ্যাম্পিয়ন দলের অনেকেই হতাশ।

তবে মাঠ ছাড়ার আগে প্রতিযোগিতার প্রশংসা করে গিয়েছেন জয়সূর্য। তিনি বলেন, “এই প্রতিযোগিতায় একসময়ে ধোনি খেলেছেন বলে শুনেছি। সিনেমাতেও দেখিয়েছে। তাতে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি খুশি। পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার যেভাবে এই প্রতিযোগিতাকে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তা প্রশংসনীয়।”

Advertisement

তবে জয়সূর্য মাঠ ছাড়ার পরেও বিশৃঙ্খলা পিছু ছাড়েনি। দ্বিতীয় সেমিফাইনালের শেষ ওভারে মাঠে নো বল নিয়ে অশান্তি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামলাতে মাইক ধরতে হয় খোদ পুরপ্রধান তথা বিধায়ক প্রদীপ সরকারকে। তিনি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার অনুরোধ করলেও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ক্রিকেট দল সে কথা শোনেনি। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও মাইক হাতে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বলায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। ফাইনালে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ২২ নম্বর ওয়ার্ড।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement