সঞ্জু স্যামসন।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে রবিবার নিজেকে প্রমাণ করার লড়াইয়ে নেমেছিলেন সঞ্জু স্যামসন। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ৪৫ বলে অপরাজিত ৯২ করলেন। তাঁর ইনিংসে দু’টি চার, ১০টি ছয়। সঞ্জুর তাণ্ডবে রাজস্থান রয়্যালস তোলে চার উইকেটে ২১৭। জবাবে ২০ ওভারে আরসিবি থেমে যায় ১৯৮-৬ স্কোরে।
রাজস্থান যে এই বিশাল স্কোর তুলতে পারবে, তা ভাবেননি স্বয়ং অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানেও। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বিরাট কোহালির দলকে ১৯ রানে হারিয়ে রাহানে বলেন, ‘‘আমরা একটা সময় ভেবেছিলাম, ১৬০-১৭০ রানের বেশি করতে পারব না। কিন্তু অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলল সঞ্জু। জস বাটলারও খুব ভাল খেলল।’’
যখন ১৫ নম্বর ওভার শুরু হচ্ছে, রাজস্থানের স্কোর তিন উইকেটে ১২৯। তখন থেকেই ঝড় তুললেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জু। পরের পাঁচ ওভারে ৮৮ রান উঠল। উমেশ যাদব এক ওভারে ২৭ রান-সহ ৪ ওভারে দিলেন ৫৯ রান।
সামনে ২১৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে কোহালি শুরু থেকেই বড় স্ট্রোক খেলেন। প্রথম ছয় ওভারে কোহালি (৩০ বলে ৫৭) এবং কুইন্টন ডি’কক (১৯ বলে ২৬) ৬৪ রান তুলে দেন। কোহালি যত ক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, আরসিবি ম্যাচে ছিল। তিনি এবং এ বি ডিভিলিয়ার্স (১৮ বলে ২০) মিলে পাল্টা আক্রমণের রাস্তা নিয়েছিলেন। কিন্তু একবার কোহালি বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়ার পরে আরসিবির সামনে কাজটা কঠিন হয়ে যায়। শেষ দিকে মনদীপ সিংহ এবং ওয়াশিংটন সুন্দর একটা চেষ্টা করলেও সেটা যথেষ্ট ছিল না। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে সঞ্জু বলেন, ‘‘টাইমিং ভাল হচ্ছে। ছন্দে আছি। তবে টুর্নামেন্ট সবে শুরু হল। এখনও অনেক দূর যেতে হবে।’’