দ্বৈরথ: ফাইনালে হার সিন্ধুর। চ্যাম্পিয়ন সাইনা। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
ফের পি ভি সিন্ধুকে টেক্কা দিলেন সাইনা নেহওয়াল। ৮৩তম সিনিয়র জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে কার্যত উড়িয়ে দিলেন তাঁর প্রধানতম প্রতিপক্ষকে। ২১-১৮, ২১-১৫ ফলে সাইনার জয় দেখে অনেকে বিস্মিত। বিশেষজ্ঞরাও আশা করেননি, এতটা একপেশে ফাইনাল হবে। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় বার সিন্ধুকে হারিয়ে জাতীয় খেতাব জিতলেন সাইনা।
তাঁদের দ্বৈরথ নিয়ে নানা কাহিনি রয়েছে। দু’জনেই গুরু গোপীচন্দের ছাত্রী। শোনা যায়, নতুন ছাত্রী সিন্ধুকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন দেখে গোপীর অ্যাকাডেমি ছেড়ে বেঙ্গালুরুতে প্রকাশ পাড়ুকোনের কাছে চলে গিয়েছিলেন সাইনা। সম্প্রতি ফিরে এলেও দুই তারকার মধ্যে রেষারেষির চোরাস্রোত কি সহজে থামতে পারে?
অস্ত্রোপচারের পরে সাইনার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। তাই খেতাব জিতে প্রথম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সেই মানুষদের কাছে, যাঁরা কঠিন সময়ে তাঁর পাশে ছিলেন। পাশাপাশি, কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি স্বামী এবং ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় পারুপল্লি কাশ্যপকে। খেলা চলাকালীন সারাক্ষণ যিনি স্ত্রীকে উৎসাহ শুধু দিয়ে গেলেন না, ‘কোচের’ ভূমিকাও পালন করে গেলেন। সাইনা বলতে ভোলেননি, ‘‘তোমার সব পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।’’ দুই তারকার মুখোমুখি লড়াই নিয়ে গুয়াহাটিতেও প্রবল উৎসাহ তৈরি হয়েছিল। খেলা শুরুর আগে থেকেই দর্শকাসনে দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না। সাইনার অলরাউন্ড গেমের কাছে হার মানলেন স্ম্যাশকে অস্ত্র করে এগোতে চাওয়া সিন্ধু। বেশ কয়েক বার ‘জাজমেন্টেও’ ভুল হল তাঁর। ফাইনালে সত্যিই কি ‘চোকার্স’ হয়ে যাচ্ছেন সিন্ধু?
ওভারহেড লাইট গোলযোগের জন্য খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকল। তখন সিন্ধুকে বেশ বিরক্ত দেখাচ্ছিল। ফের খেলা শুরুর পরে সিন্ধু পরপর দুই পয়েন্ট জিতে ১৭-১৮ করে ফেলেন। কিন্তু সাইনা হাল ছাড়েননি। দুর্দান্ত লড়াই করে ফিরে এসে গেম জিতে নেন। দ্বিতীয় গেমেও ৫-৩ ফলে এগিয়ে গিয়েছিলেন সিন্ধু। অভিজ্ঞ সাইনা নিয়ন্ত্রণ হারাননি। এ নিয়ে গত দু’বছরে টানা তিন বার সিন্ধুকে হারালেন তিনি। খেলা শেষে সাইনা বলেন, “আমরা দুজনেই বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরে খেলছি। নিজেদের সেরা খেলাটাই দু’জনে তুলে ধরতে চাই।” সিন্ধুকে এত সহজে হারানোর কথা ভেবেছিলেন? সাইনার মতে, সিন্ধু কয়েকটি শট ছাড়ার ক্ষেত্রে ভুল করায় তাঁর সুবিধে হয়েছে।
পুরুষদের সিঙ্গলসের ফাইনালে লক্ষ্য সেনকে হারিয়ে টানা তিনবার সিনিয়র জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হন সৌরভ বর্মা। ২১-১৮, ২১-১৩ ফলে লক্ষ্যকে হারালেন তিনি।