অকাল-বিদায়: মাত্র ৬৩ বছরেই চলে গেলেন কাদির। ফাইল চিত্র
চৌষট্টি বছরে পা দেওয়ার আগেই তাঁর এই ভাবে চলে যাওয়াটা এখনও মেনে নিতে পারছেন না ক্রিকেট বিশ্বের অনেকেই। আব্দুল কাদিরের মৃত্যুতে তাই শোকবার্তা ভেসে আসছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। সচিন তেন্ডুলকর থেকে ভিভিয়ান রিচার্ডস— কিংবদন্তি লেগস্পিনারের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সবাই।
১৯৮৯ সালে, তাঁর প্রথম পাকিস্তান সফরে কাদিরের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন সচিন। একটি ভেস্তে যাওয়া ওয়ান ডে ম্যাচে কাদিরের এক ওভারে চারটি ছক্কা মেরেছিলেন তিনি। শনিবার সচিন টুইট করেন, ‘‘আব্দুল কাদিরের বিরুদ্ধে খেলার কথা মনে আছে। নিজের সময়ের অন্যতম সেরা স্পিনার ছিলেন কাদির। ওঁর পরিবারের প্রতি পূর্ণ সমবেদনা রইল।’’
কাদিরের সমসাময়িক ক্রিকেটার, আর এক কিংবদন্তি ভিভের টুইট, ‘‘কাদিরের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছি। বন্ধু, চিরশান্তিতে ঘুমোও। তোমার বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে জানি, কত ভাল ক্রিকেটার ছিলে। কাদিরের পরিবার এবং বন্ধুদের সমবেদনা জানাচ্ছি, প্রার্থনা করছি।’’ ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর এক মহাতারকা, প্রাক্তন ক্রিকেটার ব্রায়ান লারাও শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছেন। টুইটারে কাদিরের খেলার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে লারা লেখেন, ‘‘এই বিশ্বমানের স্পিনারের বিরুদ্ধে আমার অভিষেক হয়েছিল। চিরশান্তিতে থাকুন ।’’
তাঁর অধিনায়কত্বেই একটা সময় দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছিলেন কাদির। সেই বর্তমান পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী এবং প্রাক্তন অধিনায়ক ইমরান খান তাঁর টুইট-বার্তায় লিখেছেন, ‘‘আব্দুল কাদিরের মৃত্যুতে আমি শোকস্তব্ধ। কাদির এক জন জিনিয়াস ছিল। সর্বকালের অন্যতম সেরা লেগস্পিনার। ড্রেসিংরুমের প্রাণ ছিল ও। সব সময় দলকে মাতিয়ে রাখত মজার মজার কথা বলে।’’ ইমরান আরও লেখেন, ‘‘পরিসংখ্যান দিয়ে কাদিরের প্রতিভার বিচার করা যায় না। কাদির যদি এখন ক্রিকেট খেলত, যখন ‘ডিআরএস’-এর সুবিধে আছে, যখন ফ্রন্টফুটে লাগলেও আম্পায়াররা এলবিডব্লিউ দিয়ে দেয়, তা হলে ওর উইকেট সংখ্যা শেন ওয়ার্নের মতোই হত।’’
অদ্ভুত রান আপ এবং বোলিং অ্যাকশনের জন্য সত্তর ও আশির দশকে কাদির জনপ্রিয় ক্রিকেটার ছিলেন। ৬৭ টেস্ট খেলে নিয়েছিলেন ২৩৬ উইকেট। সর্বকালের অন্যতম সেরা স্পিনার হিসেবে জায়গা করে নেওয়া ওয়ার্ন বলেছেন, ‘‘১৯৯৪ সালে আমার প্রথম পাকিস্তান সফরে কাদিরের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। আমরা যারা লেগস্পিন করতাম, তারা কিন্তু কাদিরকেই সামনে রেখে এগিয়েছি।’’
ভিভিএস লক্ষ্মণ বলেছেন, ‘‘কাদিরের ব্যতিক্রমী বোলিং স্টাইল মুগ্ধ হয়ে দেখতাম। অন্যতম সেরা লেগস্পিনার চলে গেলেন।’’ হরভজন সিংহ বলেছেন, ‘‘দু’বছর আগেই ওঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। দারুণ প্রাণবন্ত। চ্যাম্পিয়ন বোলার, দারুণ এক জন মানুষ। আপনার অভাব অনুভূত হবে।’’