নিজের ‘প্রথম’ ভালবাসা ক্রিকেটে ফের ফিরছেন সলিল আঙ্কোলা। ফাইল ছবি
সচিন তেন্ডুলকর এবং ওয়াকার ইউনিসের সঙ্গে একই দিনে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তাঁর। বাকি দু’জনের ক্রিকেটীয় জীবন তরতর করে এগিয়ে গেলেও তিনি মুখ থুবড়ে পড়েছিলেন। ড্রাগ, ডিপ্রেশনে এক সময় শেষ হয়ে যেতে বসেছিল জীবনটাই। সেখান থেকেই নাটকের মতো নিজের ‘প্রথম’ ভালবাসা ক্রিকেটে ফের ফিরছেন সলিল আঙ্কোলা। গত সপ্তাহেই মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সিলেকশন কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
১৯৮৮-৮৯ সালে প্রথম রঞ্জি মরশুমেই শিরোনামে এসেছিলেন আঙ্কোলা। ২০ বছর বয়সী এই পেসার গুজরাটের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন। সেই মরশুমে পাঁচ ম্যাচে ২৭ উইকেট পান।
এমন সময়ে আলোচনায় উঠে আসেন আঙ্কোলা, যখন ভারতে পেসারদের আকাল। পরের বছরই পাকিস্তান সফরে তাঁকে দলে ঢোকানো হয়। তারপরেই সচিন, ওয়াকারদের সঙ্গে অভিষেক। জীবন অবশ্য বেশিদিন সুখের ছিল না।
আরও খবর: দ্রুত ছন্দে ফিরবেন স্মিথ, লাবুশানে, আশা অস্ট্রেলিয়ার
আরও খবর: ১০০ শতাংশ ফিট না হলেও সিডনিতে ওয়ার্নারকে নিয়ে ঝুঁকির পথে অস্ট্রেলিয়া
চোটের কারণে একাধিকবার দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন। বোলিং অ্যাকশনও বদলাতে হয়েছে। ফিরে এসে ভারতীয় দলে সে ভাবে সুযোগ পাননি। তবে মুম্বইয়ের হয়ে নিয়মিত দেখা যেত তাঁকে। তখন সিনেমা করার অফার পেলেও আমল দেননি।
১৯৯৭-এ একটি ঘরোয়া ম্যাচে বল করতে গিয়ে আচমকাই পড়ে যান। ধরা পড়ে বোন টিউমার। অস্ত্রোপচার ঠিক না হওয়ায় সেরে উঠতে পারেননি। ক্রিকেট কেরিয়ার ওখানেই শেষ।
পারিবারিক ব্যবসা না জমায় বলিউডের দিকে পা বাড়ান। প্রাথমিকভাবে সেখানে সমস্যা হলেও পরে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। কিন্তু নিয়মিত মদ্যপান এবং অবা়ঞ্ছিতদের ভিড় তাঁকে মূল লক্ষ্য থেকে সরিয়ে দেয়। দু’বার রিহ্যাবে থাকতে হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে।
দ্বিতীয় স্ত্রী রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের উৎসাহে ফের ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা জেগে ওঠে আঙ্কোলার। নিজেকে ফিট করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। সেই পরিশ্রমেরই ফল নতুন দায়িত্ব।