একটি ফোন কোল বদলে দিয়েছিলো সচিনের সিদ্ধান্ত। ফাইল চিত্র
২০০৭ সালের বিশ্বকাপে গ্রুপ লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর খেলা ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর। কিন্তু স্যর ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে ৪৫ মিনিটের কথোপকথনসিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য করল ‘মাস্টার ব্লাস্টার’কে।
২০০৭ সালে শক্তিশালী দল নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েও বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার কাছে গ্রুপ লিগে হেরে বিদায় নেয় ভারত। এরপর দলের বাকিদের মতো হতাশায় ভেঙে পড়েন সচিন। মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন নতুনদের জায়গা ছেড়ে দিয়ে তিনি অবসর নেবেন। এক যুগ আগের সেই ঘটনার উল্লেখ করে সচিন বলেন, ‘‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেও আমার ভাই এই সিদ্ধান্ত পাল্টাতে বলে। কারণ ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ছিল ভারতেএবং ফাইনাল ছিল মুম্বইয়ে। ভাই বলে, পরের বিশ্বকাপে তুমি ওয়াংখেড়েতে কাপ নিয়ে দাড়িয়ে আছ। এটা সম্ভব হতেই পারে এবং অবিশ্বাস্যভাবে তা মিলেও যায়।’’ ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পরে সচিন অবসর নিলে, ২০১১ সালে ওয়াংখেড়েতে সেই সোনার ফ্রেম আর দেখা যেত না। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতার পরে সতীর্থদের কাঁধে চড়ে ভিকট্রি ল্যাপ দিচ্ছেন সচিন। তাঁর হাতে ভারতের পতাকা। সেই ছবি এখনও জীবন্ত ক্রিকেটপাগলদের স্মৃতিতে।
দাদা অজিতের পরামর্শ শোনার পরেও সচিনের মনে সংশয় ছিল। সেই সংশয় কেটে যায় স্যর ভিভের একটা ফোন কলে। সচিন বলেন, ‘‘আমার যেটুকু সংশয় ছিল তা কেটে যায় স্যর ভিভের ফোন কলে। স্যর আমাকে বলেন, তোমার মধ্যে এখনও ক্রিকেট ফুরিয়ে যায়নি এবং আমার আশা তুমি খেলা চালিয়ে যাবে। নিজের ব্যাটিং হিরোর থেকে এমন ফোন কল পাওয়ার পরে আমি খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।’’ স্যর ভিভ সে দিন বড় উপকার করেছিলেন। তিনি ফোন না করলে সচিন হয়তো অবসরই নিয়ে ফেলতেন।
আরও পড়ুন: লর্ডসে ফাইনাল খেলবে ভারত ও ইংল্যান্ড দাবি এই ভারতীয় তারকার