ডনের সঙ্গে সচিন। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া
২৭ অগস্ট, ১৯৯৮। দুই ভিন্ন সময়ের ব্যাটিং কিংবদন্তির প্রথম সাক্ষাৎ। ৯০ বছরের জন্মদিন উদযাপনে ডন ব্র্যাডম্যানের বাড়িতে আমন্ত্রণ পেলেন সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। অস্ট্রেলিয়া দলের কিংবদন্তি স্পিনার শেন ওয়ার্নও পেয়েছিলেন আমন্ত্রণ। সেই প্রথম দেখার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান।
এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সচিন বলেন, “খুব বড় দিন ছিল। হোটেল থেকে ওয়ার্ন আমার সঙ্গে ছিল। ওই গাড়ি চালাচ্ছিল। বলছিল যে ও খুব চিন্তিত, কী কথা বলবে বুঝতে পারছে না। বলেছিল আমি ব্যাটসম্যান, তাই আমার আগে কথা বলা উচিৎ।” ২৫ বছরের তরুণ সচিনও আবেগে বাকরুদ্ধ। বহু ভারতবাসীর স্বপ্নের নায়ক সে দিন চলেছেন তাঁর স্বপ্নের নায়কের সঙ্গে দেখা করতে। তবে প্রথম কথা বলার মতো আত্মবিশ্বাস পাননি। ওয়ার্নকে সচিন বলেন, “তুমি অস্ট্রেলিয়ান, তুমিই আগে কথা বলবে।” ডনের সঙ্গে প্রথম কথা বলেন ওয়ার্নই। পরে সচিন জিজ্ঞেস করেন ব্যাটিং নিয়ে।
প্রথম প্রশ্নই ছিল, সচিনদের সময়ে ব্যাট করলে কত গড় হতো ডনের। কয়েক সেকেন্ড ভেবে ডন বলেন, “৭০-এর ঘরে।” ৯৯.৯৪ গড়ে ক্রিকেট জীবন শেষ করা ডন কেন এতটা কমিয়ে বলছেন বুঝতে পারেননি তরুণ সচিন। ফের জিজ্ঞেস করেন, কেন এত কম? মুচকি হেসে ডনের জবাব, “৯০ বছরের এক বৃদ্ধর পক্ষে ৭০ গড় খারাপ নয়।”
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
সচিন অবসর নেন ২০১৩ সালে। অধিনায়ক নয়, ব্যাটসম্যান সচিনই বেশি পূজিত হন ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। তবে আসন্ন টেস্ট সিরিজে ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানের ওপর যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী সচিন। প্রথম টেস্টের পর বিরাট কোহালি পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে ফিরে আসবেন দেশে। ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্বে থাকবেন রাহানেই। সচিন বলেন, “রাহানের সঙ্গে কথা বলে যা বুঝেছি, ও খুব ঠাণ্ডা মাথার ছেলে এবং বুদ্ধিমান। ওর আগ্রাসন খুবই নিয়ন্ত্রিত। প্রচণ্ড পরিশ্রমী রাহানে। কেউ যদি পরিশ্রমি, সৎ এবং একাগ্র হয়, তবে তার সাফল্য আসবেই।”