উইম্বলডনে ঘাসের কোর্টে টেনিস। —ফাইল চিত্র।
এ বারের উইম্বলডনে খেলতে পারবেন রাশিয়া এবং বেলারুসের টেনিস খেলোয়াড়েরা। গত বার তাঁদের বাদ দিয়েই উইম্বলডন হয়েছিল। এক মাত্র গ্র্যান্ড স্ল্যাম যেখানে তাঁরা খেলতে পারেননি। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণেই এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল উইম্বলডন। আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হতে চলা উইম্বলডনে যদিও তাঁরা খেলতে পারবেন।
রাশিয়ার খেলোয়াড়েরা ফিরলেও তাঁদের কী ভাবে স্বাগত জানানো হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বিশ্বের তিন নম্বর দানিল মেদভদেভ রাশিয়ার টেনিস তারকা। তিনি বলেন, “আমাদের হাতে নেই সেটা। মানুষ যদি মনে করে যে, আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবে, তা হলে তাই হবে। যদি পাশে থাকে, তা হলে খুব ভাল লাগবে। আমরা ঠিক করতে পারব না মানুষ কী করবে।” এ বারের উইম্বলডনে রাশিয়া এবং বেলারুসের যে খেলোয়াড়েরা অংশ নেবেন, তাঁদের লিখিত ভাবে জানাতে হবে যে, তাঁদের দেশের কোনও আর্থিক সাহায্য নেবেন না। সেই সঙ্গে তাঁদের খেলতে হবে পতাকাহীন ভাবে।
১০ বছর আগে রজার ফেডেরারকে উইম্বলডনের ঘাসের কোর্টে হারিয়ে দিয়েছিলেন সের্জি স্তাখোভস্কি। ইউক্রেনের সেই টেনিস তারকা ২০১৩ সালে দ্বিতীয় রাউন্ডেই ছুটি করে দিয়েছিলেন উইম্বলডনজয়ী ফেডেরারের। এখন স্তাখোভস্কি দেশের হয়ে লড়ছেন। রাশিয়ার সৈন্যদের দেশ থেকে বার করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁর গায়ে এখন সৈন্যদের পোশাক। সেই ইউক্রেনের খেলোয়াড়েরা ফরাসি ওপেনে বেলারুস, রাশিয়ার খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মেলাননি।
ইউক্রেনের এলিনা সিতোলিনা এবং মারতা কস্টিউককে ফরাসি সমর্থকেরা ব্যঙ্গ করেন। কারণ তাঁরা বেলারুসের এরিনা সাবালেঙ্কার সঙ্গে হাত মেলাতে চাননি। কস্টিউক মনে করেন যে, ফরাসি দর্শকদের লজ্জা পাওয়া উচিত। ভিতোলিনা মনে করেন, তিনি দেশের সম্মান বিক্রি করবেন না হাত মিলিয়ে হাত তালি পাওয়ার জন্য।