লোঢা কমিটির রায় বেরনোর কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই কিন্তু পাল্টা গেমপ্ল্যান তৈরি শুরু হয়ে গিয়েছে সাসপেন্ড হয়ে যাওয়া দুই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে।
এবং সেই গেমপ্ল্যান খুব পরিষ্কার। চুপচাপ মুখ বুজে শাস্তি মেনে নেওয়ার কোনও জায়গা নেই। চেন্নাই সুপার কিংগসের পক্ষ থেকে তো বলেই দেওয়া হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার জন্য তারা তৈরি। রাজস্থান এখনও সরকারি ভাবে কিছু না জানালেও, তারাও আইনি রাস্তা খতিয়ে দেখছে।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ফ্র্যাঞ্চাইজি আরও একটা ব্যাপার পরিষ্কার করে দিতে চায়। সিএসএকে-র মালিকানা তারা ছাড়বে না। সিএসকে-র সিইও কাশী বিশ্বনাথনকে ফোনে ধরা হলে তিনি পরিষ্কার বলে দিলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট এবং কমিটির রায়কে অবশ্যই আমরা সম্মান করি। কিন্তু আমাদের সামনে আদালতে আবেদন করার রাস্তা খোলা থাকছে।’’ এ রকমও কথা শোনা যাচ্ছে যে টিম বিক্রি করে দিতে পারেন আপনারা? যে ধারণা উড়িয়ে দিচ্ছেন কাশী। বলছেন, ‘‘ফ্র্যাঞ্চাইজি মোটেও বিক্রির জন্য নয়। বিক্রি করার কোনও ভাবনাই নেই আমাদের। আর আমরা টিম বিক্রি করব কেন? আমাদের তো একেবারে বাতিল করে দেওয়া হয়নি। সাসপেন্ড করা হয়েছে দু’বছরের জন্য। যে সিদ্ধান্তটা আবার আমরা আদালতে চ্যালেঞ্জ করতে পারি।’’
রাজস্থানের তরফে বলা হয়েছে, আমরা রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। রিপোর্ট দেখে তার পর যা করার করব। তবে ওয়াকিবহাল মহলের খবর, সিএসকে যে রাস্তায় হাঁটবে, রাজস্থানও সে দিকেই যাবে। শ্রীনিবাসনের সঙ্গে কি এ ব্যাপারে কোনও কথা হয়েছে আপনাদের? কাশী বলছেন, ‘‘শ্রীনিবাসন এখন লন্ডনে আইসিসি-র কাজে ব্যস্ত। আমার মনে হয় না, উনি এই রায়ের কোনও কপি পেয়েছেন বলে। আমরা শ্রীনিবাসনের ফেরার অপেক্ষায় আছি। তবে পাশাপাশি আইনজীবীদের সঙ্গেও কথা বলছি।’’
আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক ১৯ বা ২০ জুলাই বসবে। এমনও শোনা যাচ্ছে, বিসিসিআই এখন থেকেই নতুন করে নিলাম করার কথা ভাবছে। সম্ভবত নতুন দুটো দল নিয়ে। সে ক্ষেত্রে আপনাদের ভূমিকা কী হবে? আপনারা কি প্লেয়ার ছেড়ে দেবেন? সিএসকে সিইও বলছেন, ‘‘এখন যে পরিস্থিতি, তাতে আমরা আগামী দু’বছর আইপিএলে নেই। এই পরিস্থিতি কিন্তু বদলে যেতে পারে আমরা আদালতে গেলে। আর যদি আমরা আইপিএলে খেলতে না পারি, তা হলে ক্রিকেটার ধরে রাখার কোনও প্রশ্ন নেই।’’ তৃতীয় একটা সম্ভাবনা উঠছে, যে পরের দু’বছর দুটো নতুন দল নিয়ে আইপিএল হল। এবং তার পর থেকে আটের সঙ্গে ফিরিয়ে নেওয়া হল চেন্নাই এবং রাজস্থানকে। সে ক্ষেত্রে কী হবে? এই চিন্তার কথা আপাতত মাথায় আনছেন না সিএসকে কর্তারা। তাঁদের ভাবনায় আসন্ন ভবিষ্যৎ। তবে স্বীকার করে নিচ্ছেন, রায়ের ধাক্কায় টিম যথেষ্ট ভেঙে পড়েছে। ‘‘চেন্নাই সুপার কিংসের ভাবমূর্তি প্রচণ্ড ধাক্কা খেল। সত্যি কথা বলতে, আমরা যথেষ্ট ভেঙে পড়েছি,’’ বলছেন সিএসকে-র এক কর্তা।