জিতেও হতাশ। বের্নাবাওতে।-এএফপি
নিজে মরসুমের ৪০তম গোল করে ফেললেন। রোমার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সতীর্থ হামেস রদ্রিগেজকে গোলের পাস বাড়ালেন। তাঁর দাপটে মঙ্গল-রাতে ২-০ জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদ কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল। দু’পর্ব মিলিয়ে ৪-০ হারাল ইতালির ক্লাবকে। তবু খুশি নন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
খোদ বের্নাবাওতেই পর্তুগিজ মহাতারকাকে দর্শকদের বিদ্রুপ হজম করতে হল। যা রিয়ালের দাপুটে জয়ের আনন্দও ফিকে করে দিচ্ছে। ম্যাচের পর রিয়ালের অধিনায়ক সের্জিও র্যামোস তো বলেই দিয়েছেন, ‘‘সমর্থকদের এ রকম আচরণ করার আগে এক বার ভেবে দেখা উচিত। আমরা সবাই রিয়ালের ভাল চাই।’’ সঙ্গে আরও যোগ করেছেন, ‘‘সমর্থকদের সম্মান করি। তবে দলের খারাপ সময়ে সমর্থকদের উচিত প্লেয়ারদের পাশে দাঁড়ানো ।’’
কেন রোনাল্ডোকে ঘরের মাঠে ভক্তদের বিদ্রুপ সহ্য করতে হল? গত মাসে লা লিগায় মাদ্রিদ ডার্বিতে আটলেটিকোর কাছে হারার পর রোনাল্ডোর মন্তব্য ভুলতে পারছে না রিয়াল সমর্থকদের একাংশ। সিআর সেভেন বলেছিলেন, ‘‘যদি টিমের সবাই আমার মতো খেলত তা হলে আমরাই জিততাম।’’ তার পর জল অনেক গড়ায়। রোনাল্ডো মন্তব্যের জন্য সতীর্থদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। তবু সমর্থকেরা ব্যাপারটা এখনও মেনে নিতে পারেনি। অনেকে এও বলছেন, রোনাল্ডো গত রাতে প্রচুর সুযোগ নষ্ট করেছেন। দশটা শট নিয়েছেন গোলে। যার মাত্র একটা টার্গেটে ছিল। তাই দর্শকদের এমন প্রতিক্রিয়া অস্বাভাবিক নয়।
তবে, যে কারণই হোক, রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান ঘটনাকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন না। জিজু উল্টে বলছেন, ‘‘এ সব করলে রোনাল্ডো মাঠে আরও তেতে উঠবে। সবচেয়ে বড় কথা মাঠে নামলেই ক্রিশ্চিয়ানো সব সময় গোল করার জন্য ছটফট করে। গোল করেও।’’
এ দিন শেষ আটে গেল জার্মানির উলফসবার্গও।