রোহিত রাজ। বুধবার বিশাখাপত্তনমে। ছবি: পিটিআই।
শুরুতেই হিট ‘হিটম্যান’। টেস্টে ওপেনার হিসেবে প্রথম ইনিংসেই শতরান করলেন তিনি। যা থামিয়ে দিল সব সমালোচনা। তবে চায়ের বিরতির পর বৃষ্টিতে খেলা শুরু করা গেল না। প্রথম দিনের শেষে বিনা উইকেটে ২০২ রান ভারতের। অপরাজিত রয়েছেন দুই ওপেনার।
এর আগে মিডল অর্ডার থেকে ওপেনিংয়ে এসে প্রথম ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছিলেন বীরেন্দ্র সহবাগ। সেটাও ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। তবে তা ছিল প্রোটিয়াদের দেশে, ভারতের অ্যাওয়ে সিরিজে। রোহিতও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওপেনার হিসেবে নেমেই শতরান করলেন। তবে তা এল ঘরের মাঠে।
এদিন লাঞ্চের আগেই পঞ্চাশ করেছিলেন তিনি। যা এসেছিল ৮৪ বলে। রোহিতের সেঞ্চুরি এল ১৫৪ বলে। লাল বলের ক্রিকেটে শুরুতে নেমে রোহিত শর্মার এই ইনিংস নিশ্চিত ভাবেই চাপ কাটাল তাঁর উপর থেকে। একইসঙ্গে ভারতের বড় ইনিংসের ভিতও গড়ে দিল তা। চায়ের বিরতিতে বিনা উইকেটে ২০২ তুলে ফেলেছে ভারত। রোহিত খেলছেন ১১৫ রানে। মারলেন ১২টি চার ও পাঁচটি ছয়। তাঁর সঙ্গে ময়াঙ্কও (৮৪) জমে গিয়েছেন ক্রিজে। তিনি মেরেছেন ১১টি চার ও দু’টি ছয়। বড় রানের দিকেই এগোচ্ছে টিম ইন্ডিয়া।
বৃষ্টির জন্য চায়ের বিরতির পর যদিও খেলা শুরু হল না। ফলে, এদিন নষ্ট হল ৩০.৫ ওভার। যা নিঃসন্দেহে স্বস্তি দেবে দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরকে। কারণ, প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে দুই ওপেনারের সুবাদে রীতিমতো দাপটের জায়গায় ভারত। মধ্যাহ্নভোজের সময় স্কোরবোর্ডে বিনা উইকেটে উঠে গিয়েছিল ৯১। ক্রিজে ছিলেন রোহিত শর্মা (৫২) ও ময়াঙ্ক আগরওয়াল (৩৯)। দেশের মাটিতে রোহিতের যা ছিল টেস্টে টানা ষষ্ঠ অর্ধশতরান। সার্বিক ভাবে এই ফরম্যাটে যা তাঁর ১১তম পঞ্চাশ। লাঞ্চের কিছুক্ষণের মধ্যে ছয় মেরে পঞ্চাশে পৌঁছেছিলেন ময়াঙ্কও।
আরও পড়ুন: বিশাখাপত্তনমে ‘বীরু’ হওয়ার অগ্নিপরীক্ষা রোহিতের
আরও পড়ুন: টিম ইন্ডিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ অশ্বিন, কে বললেন জানেন?
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি। ক্রিকেটমহলের নজর ছিল তিন জনের দিকে। ১০ মাস পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ২২ মাস পরে টেস্টের এগারোয় ফেরা উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহা। আর অবশ্যই মিডল অর্ডার থেকে টেস্টে ওপেনার হয়ে ওঠা রোহিত শর্মা। তা রোহিতই কেড়ে নিলেন সব আকর্ষণ।
তা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের সকালে ওপেনার রোহিতই থাকলেন চর্চায়। দিন কয়েক আগে বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুই বলের বেশি ক্রিজে থাকতে পারেননি। কোনও রান করার আগেই আউট হয়েছিলেন। যা নিয়ে শুরু হয়েছিল প্রবল বিতর্ক। তাঁকে ওপেনার হিসেবে নামিয়ে দেওয়া উচিত কি না, মতামত দিচ্ছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কোহালি যদিও মঙ্গলবার টেস্টের আগের দিন বলেছিলেন, রোহিতকে ওপেনার হিসেবে দেখে নেওয়ার এটাই সেরা সময়।
এদিন সকালে ময়াঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন রোহিত। প্রথমে তাঁকে অফস্টাম্প লাইনে বল করছিলেন প্রোটিয়া পেসাররা। তারপর শর্টপিচও করা হয়। মুম্বইকর প্ররোচনায় সাড়া দেননি। সোজা ব্যাটে খেলতে থাকেন তিনি। স্পিনের বিরুদ্ধে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে ছক্কাও হাঁকাতে দেখা গেল তাঁকে। তারপর বিশাখাপত্তনমে চলল রোহিত-রাজ। খুব পিছিয়ে ছিলেন না ময়াঙ্কও। তিনিও গ্যালারিতে বেশ কয়েকবার পাঠালেন বল।