শেষ আটে হেরে ছিটকে গেলেও রজার ফেডেরার উইম্বলডনকে কথা দিলেন, আগামী বছর আবার কোর্টে নামবেন।
৩৬ বছর বয়সি সুইৎজারল্যান্ডের এই টেনিস কিংবদন্তি বুধবার কেভিন অ্যান্ডারসনের কাছে হেরে নবম বারের জন্য ঘাসের কোর্টের সেরা খেতাবের লড়াই থেকে ছিটকে যান। অপ্রত্যাশিত হারের পরে ফেডেরার গ্যালারির দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘পরের বছর আবার আসার ইচ্ছে রয়েছে এখানে। কাজটা অসম্পূর্ণ রয়ে গেল বলা যাবে না। অতীতে অনেক কিছু করেছি আমি। অনেক অসাধারণ মুহূর্ত কাটিয়েছি এখানে। তবু আগামী বছর এখানে ফেরার ইচ্ছে রয়ে গেল।’’
বুধবার কোয়ার্টার ফাইনালে নিজেকে সেরা জায়গায় খুঁজে পাচ্ছিলেন না বলে জানান বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর টেনিস তারকা। যিনি ২০০৫ থেকে ২০০৬ অল ইংল্যান্ড ক্লাবে টানা ৩৪টি সেট জিতেছিলেন। বলেন, ‘‘আগে এখানে অনেকের সার্ভ যথেষ্ট ভাল আন্দাজ করেছি। কিন্তু আজ বেসলাইনে নিজের ছন্দ ঠিক পাচ্ছিলাম না। আজ আমার সেরা দিন ছিল না। শেষ সেটে যখন ১০-১০ ছিল, তখন মনে হচ্ছিল সার্ভটা ঠিকমতো হচ্ছে না। এ রকম কখনও মনে হয়নি আমার।’’ পছন্দের সেন্টার কোর্ট ছেড়ে তাঁকে এ দিন এক নম্বর কোর্টে খেলতে হয়, সে জন্যই কি চেনা ছন্দে ছিলেন না তিনি?
অন্য দিকে ফেডেরারকে হারিয়ে অঘটন ঘটিয়ে প্রায় বাকরুদ্ধ কেভিন অ্যান্ডারসন বলেন, ‘‘জানি না, এখন কী বলা উচিত। নিজেকে সেরা জায়গায় রাখার চেষ্টা করছিলাম। যখন ছন্দ পেয়ে যাই, তখন আর বেশি কিছু ভাবিনি। নিজেকেই বলছিলাম, নিজের উপর আস্থা হারিও না। সেটা করতে পারলে দিনটা আমারই হবে। উইম্বলডনে রজার ফেডেরারকে হারানোর স্মৃতি চিরকালই রয়ে যাবে আমার মনে। পাশাপাশি আমাকে আরও দুটো ম্যাচ জিততে হবে।’’
৩২ বছর বয়সি দক্ষিণ আফ্রিকার তারকাকে নিয়ে কিংবদন্তি ফেডেরার বলেন, ‘‘বেসলাইনে ও খুব ভাল খেলেছে আজ। যেটা আমি পারিনি। আজ যে রকম ফর্মে ছিলাম, তা ভুলে যাওয়াই ভাল। এই সুযোগটা ও খুব ভাল ভাবে কাজে লাগিয়ে নিয়েছে। নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছিল একটা সময়।’’ ২০১১-য় যুক্তরাষ্ট্র ওপেন সেমিফাইনালে নোভাক জোকোভিচের কাছে হেরে গিয়েছিলেন ফেডেরার। তার তিন মাস আগে জো উইলফ্রেড সঙ্গার কাছে হেরে যান তিনি। বুধবার সেই দুঃসময়ই যেন ফিরে এল!
উইম্বলডনের শেষ চারে: প্রথম সেমিফাইনালে নোভাক জকোভিচ বনাম রাফায়েল নাদাল, দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কেভিন অ্যান্ডারসন বনাম জন ইসনার।