হতাশ: ফাইনালের পরে রজার-জেরেভ। ছবি: এএফপি।
চলতি মরসুমে পাঁচটা টেনিস টুর্নামেন্টের ফাইনালে বিশ্বের অন্য কেউ যা পারেননি সেটা করে দেখালেন আলেকজান্ডার জেরেভ। কানাডিয়ান ওপেনের ফাইনালে জার্মান তরুণ হারিয়ে দিলেন রজার ফেডেরারকে। যা রাফায়েল নাদালও এ মরসুমে পারেননি। ফল জেরেভের পক্ষে ৬-৩, ৬-৪।
২০ বছর বয়সি জেরেভ গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে টুর্নামেন্ট জেতার পরে কানাডা ওপেনও জিতে সুইস মহাতারকার মতো পাঁচটি ট্রফি পেলেন চলতি মরসুমে। ফেডেরারের এ মরসুমে পাঁচটি ট্রফির দুটি অবশ্য গ্র্যান্ড স্ল্যাম। তবে মন্ট্রিয়লে ফেডেরারের হারিয়ে সুইস মহাতারকার টানা ১৬টা ম্যাচ জেতার দৌড় থামিয়ে দিলেন তিনি। এর পরে চলতি সপ্তাহে সিনসিনাটি ওপেনেও নামছেন তিনি।
ফেডেরারকে হারানোর পরে জেরেভ বলেন, ‘‘পরপর দু’সপ্তাহে দুটো ট্রফি জিতলাম। দারুণ লাগছে। জীবনের সেরা টেনিস খেলছি এখন মনে হচ্ছে। তবে সিনসিনাটিতে ড্রটা খুব কঠিন।’’ সিনসিনাটিতে তাঁর ট্রফি জেতার কতটা সম্ভাবনা রয়েছে? জেরেভ বলেন, ‘‘জানি না অতদূর যেতে পারব কি না। কারণ কিছুটা ক্লান্ত লাগছে এখন। তবে ম্যাচ আর আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে আমি খুব খুশি এখন।’’ ২০০৭-এ নোভাক জকোভিচের পরে জেরেভ কনিষ্ঠতম কানাডিয়ান ওপেন ফাইনালিস্ট হওয়ার নজির গড়েছেন। সেমিফাইনালে তিনি হারান ডেনিস শাপোভালভকে। এই টুর্নামেন্টেই যিনি হারিয়ে দিয়েছিলেন রাফায়েল নাদালকে।
ফেডেরার মরসুমে প্রথম ফাইনালে হারের পরে বলেন, ‘‘ছুটি কাটানোর পরে প্র্যাকটিস করে ম্যাচে নামলে শরীরে একটা ধাক্কা লাগেই। গোটা সপ্তাহ আমার ফিটনেস ঠিকঠাকই ছিল। তবে পরের দিকে পেশির ব্যথা নিয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়েছিলাম। কারণ হার্ডকোর্টে পরপর ম্যাচ খেলে যেতে হল।’’ তাহলে সিনসিনাটিতে তিনি কী নামবেন না? চলতি সপ্তাহেই যা শুরু হচ্ছে? প্রথম রাউন্ডে ফেডেরার সিনসিনাটিতে ওয়াকওভারও পেয়েছেন। ফেডেরার বলেন, ‘‘দু’এক দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’’ পরে তিনি আবশ্য সরেই দাঁড়ালেন।
তার আগে অবশ্য সিসিনাটির পাশাপাশি ফেডেরার যুক্তরাষ্ট্র ওপেনেও খেলার ব্যাপারে কতটা প্রস্তুত সেই প্রশ্নও উঠে গেল। বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম শুরু হচ্ছে ২৮ অগস্ট। সেই কারণেই হয়তো সিনসিনাটিতে ফেডেরার নামার আর ঝুঁকি নিলেন না। সুইস মহাতারকাও সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে নামার আগে আমি ফিটনেসের দিক থেকে সেরা জায়গায় থাকতে চাই। তবে এ মরসুমের তিন নম্বর আর কেরিয়ারের ২০ নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে পারাটা প্রায় পাগলামি হয়ে যাবে। আমি শুধু চাই যদি সেই সুযোগটা সামনে আসে আমি যেন ১০০ শতাংশ ফিট থাকতে পারি।’’
• কোর্টে: বয়স কুড়ি, বিশ্ব র্যাঙ্কিং সাত, চলতি বছরে পাঁচটি টুর্নামেন্ট জিতেছেন, যার মধ্যে দুটি এটিপি ১০০০ খেতাব। গত সপ্তাহেই ওয়াশিংটনে হার্ডকোর্ট টুর্নামেন্ট জেতার পরে ফাইনালে হারালেন ফেডেরারকে।
• কোর্টের বাইরে: ডাকনাম সাশা, আদর্শ ফেডেরার, টেনিস শুরু পাঁচ বছর বয়েসে, বাবা-মা টেনিস কোচ, ভাই মিশা পেশাদার টেনিস খেলোয়াড়।