গোলমেশিন: ৪৯ বছরের পুরনো রেকর্ড ভাঙার মুখে লেয়নডস্কি। ফাইল চিত্র
করোনা অতিমারির জেরে টানা ১৪ মাস জার্মানির স্টেডিয়ামে দর্শকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। শনিবার জার্মান বুন্দেশলিগায় বায়ার্ন মিউনিখ বনাম আউগসবার্গ ম্যাচে ৭৫ হাজার দর্শকাসনের আলিয়াঞ্জ এরিনায় মাত্র ২৫০ জন দর্শককে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যে ম্যাচের আগে ফুটবলপ্রেমীদের যাবতীয় আগ্রহ রবার্ট লেয়নডস্কিকে নিয়েই।
বায়ার্নের টানা ন’বার লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়ে কারও মনে সংশয় ছিল না। সপ্তাহ দু’য়েক আগেই দু’ম্যাচ বাকি থাকতে খেতাব জিতে নেন থোমাস মুলার-রা। জল্পনা শুরু হয় ৪৯ বছর আগে এক মরসুমে করা কিংবদন্তি গার্ড মুলারের ৪০ গোলের রেকর্ড পোলান্ড স্ট্রাইকার ভাঙতে পারেন কি না তা নিয়েই। গত শনিবার ফ্রেইবার্গের বিরুদ্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করে সেই নজির স্পর্শ করলেও লেয়নডস্কি টপকে যেতে পারেননি পূর্বসূরিকে। শনিবার আউগসবার্গের বিরুদ্ধেই তাঁর সামনে শেষ সুযোগ রয়েছে নতুন ইতিহাস গড়ার।
লেয়নডস্কিকে নিয়ে উন্মাদনা এতটাই তুঙ্গে যে আউগসবার্গের ম্যানেজার সম্ভবত ভুলেই গিয়েছেন, শনিবারের প্রতিপক্ষ দুরন্ত ছন্দে থাকা বায়ার্ন। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে মার্কোস ওয়েইজ়িরাল বলেছেন, ‘‘আমাদের প্রধান লক্ষ্যই হবে লেয়নডস্কিকে গার্ড মুলারের রেকর্ড ভাঙতে না দেওয়া। ওর গোল করা আটকাতে আমাদের যা যা করণীয় সব করব। ম্যাচে লেয়নডস্কির জন্য বিশেষ পাহারা তো থাকবেই। তার চেয়েও বেশি কিছু করতে পারি আমরা।’’ তিনি যোগ করেছেন, ‘‘বায়ার্নের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। তবে ওদের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে লড়াই করে কী ভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হয়, তা আমরা খুব ভাল করেই জানি।’’ ১৯৭১-৭২ মরসুমে ৪০টি গোল করেছিলেন কিংবদন্তি মুলার। শুধু তাই নয়। জার্মান বুন্দেশলিগায় সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার নজিরও তাঁর একার দখলে ছিল বহু যুগ। এই মুহূর্তে জটিল স্নায়ুর রোগে আক্রান্ত গার্ড মুলার।