—ফাইল চিত্র।
২০২০ সালে ফিফার বিচারে বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন রবার্ট লেবানডস্কি। হারিয়ে দিলেল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, লায়োনেল মেসিকে।
লেবানডস্কি গত মরসুমে অংশ নেওয়া প্রত্যেক প্রতিযোগিতাতেই সর্বাধিক গোলদাতা হয়েছেন। এই তালিকায় আছে বুন্দেশলিগা, ডিএফবি পোকাল, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। বায়ার্নের জার্সিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এই তিন প্রতিযোগিতাতেই। জিতেছেন উয়েফা সুপার কাপ, জার্মান সুপার কাপেও। বুন্দেশলিগায় টানা তৃতীয় বার তিনি টপ স্কোরার। ডিএফবি কাপে টানা চতুর্থ বার তিনি টপ স্কোরার। জার্মানির বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন তিনি। উয়েফা পুরুষদেরও বর্যসেরা ফুটবলার হয়েছেন।
গত এক দশক ধরে এই পুরস্কার ভাগাভাগি করে এসেছেন মেসি-রোনাল্ডো। ব্যালড ডি’ওর পুরস্কারের ক্ষেত্রেও দু’জনে দাপট দেখিয়েছেন। ব্যতিক্রম শুধু ২০১৮ সালে, যখন লুকা মদরিচ জিতেছিলেন সেরার সম্মান। এ বার লেবানডস্কিও মেসি-রোনাল্ডোর সাম্রাজ্যে হানা দিলেন। বায়ার্নের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জেরে বাকিদের ছাপিয়ে গেলেন তিনি।
মেসি লা লিগায় টানা সপ্তম বার টপ স্কোরার হয়েছেন। যা রেকর্ড। লা-লিগায় গত বার রানার্স হয়েছে তাঁর দল বার্সেলোনা। কেরিয়ারে ৭০০ গোল হয়ে গিয়েছে তাঁর। এক মরসুমে ২১ অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। আর্জেন্টিনার কেউ এর আগে লরিয়ুস বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ হননি। কোনও ফুটবলারও মেসির আগে এই সম্মান পাননি।
আরও পড়ুন: রাহানের ডাকে শতরান হাতছাড়া বিরাটের, ব্যাকফুটে ভারত
রোনাল্ডো আবার সিরি আ জয়ী জুভেন্টাসের সদস্য। কোপা ইটালিয়ায় তিনি রানার-আপ। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬-য় উঠেছিল তাঁর দল। সিরি আ-তে তিনি দ্বিতীয় সর্বাধিক গোলদাতা। প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা ও সিরি আ-তে প্রথম ফুটবলার হিসেবে ৫০ গোলের রেকর্ড রয়েছে তাঁর। ২০১৯-২০ মরসুমে জুভেন্টাসের হয়ে করেছেন ৩৭ গোল। যা ক্লাবের হয়ে রেকর্ড। ইউরোপের প্রথম ফুটবলার হিসেবে পৌঁছেছেন ১০০ আন্তর্জাতিক গোলে। আলি দায়ির (১০৯) পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে তিনিই দ্বিতীয় সর্বাধিক গোলদাতা (১০২)।
আরও পড়ুন: ওডিশাকে হারাল বেঙ্গালুরু, আইএসএলে অপরাজিত সুনীলরা
কিন্তু এই দুজনকে ছাপিয়ে গেলেন পোল্যান্ড ও বায়ার্ন মিউনিখের রবার্ট লেবানডস্কি।