প্রত্যয়ী: প্রথম সুযোগ পেয়েও ভয় পাচ্ছেন না রিচা। ফাইল চিত্র
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনও অভিষেক হয়নি তাঁর। কখনও ১৫ জনের দলেও সুযোগ পাননি। অথচ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েছেন শিলিগুড়ির মেয়ে রিচা ঘোষ। বুধবার অস্ট্রেলিয়ার পথে রওনা দিলেন তিনি। পরামর্শ নিয়ে গেলেন মেয়েদের ক্রিকেটে কিংবদন্তি পেসার ঝুলন গোস্বামীর থেকে।
অস্ট্রেলিয়া রওনা হওয়ার দু’দিন আগে বাংলার অনুশীলনে গিয়েছিলেন রিচা। সেখানেই অনুশীলন করছিলেন ঝুলন। ১৬ বছর বয়সি ক্রিকেটার তাঁর পূর্বসূরির কাছে জানতে চান, অস্ট্রেলিয়ায় কী ভাবে পেসারদের মোকাবিলা করা যায়। রিচা বলছিলেন, ‘‘ঝুলনদিকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম অস্ট্রেলীয় পরিবেশে পেসারদের বিরুদ্ধে কী ভাবে মানিয়ে নেওয়া যায়। আমাকে কয়েকটি মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছে ঝুলনদি।’’ কী বললেন তাঁকে? রিচার উত্তর, ‘‘ঝুলনদি বলেছে, উইকেটের আড়াআড়ি বেশি শট খেলতে। তার প্রস্তুতি নিয়েই অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছি। ঝুলনদি বলেছিল কাট, পুল, হুক শট প্র্যাক্টিস করে যেতে। তাতে সাফল্য পাওয়ার সুযোগ বেশি।’’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বিশ্বকাপ খেলার চাপ কতটা প্রভাব পড়বে তাঁর উপরে? রিচার উত্তর, ‘‘কোনও প্রভাবই পড়বে না। সেই তো ক্রিকেটই খেলতে হবে। বাংলার হয়ে এত দিন খেলতাম। এ বার ভারতের হয়ে খেলব।’’ রিচা আরও বলেন, ‘‘ঝুলনদি বলে দিয়েছে, একেবারে ভয় না পেতে। প্রত্যেকটি মুহূর্ত উপভোগ করার পরামর্শও দিয়েছে আমাকে।’’
বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে বেশ কয়েকটি শট রপ্ত করেছেন রিচা। কভার অঞ্চলের উপর দিয়ে ইনসাইড-আউট শট মারতে শিখেছে। বোলারের মাথার উপর দিয়ে সোজা শটও মারছেন। বলছিলেন, ‘‘বোলারের পিছনে কোনও ফিল্ডার থাকে না। টি-টোয়েন্টিতে এই জায়গা থেকে রান বার করতে হবে। দ্রুত রান যোগ করার সময়ে এ ধরনের শট নিতেই হবে। আউট হওয়ার ভয় পেলে নিজেই পিছিয়ে পড়ব।’’ বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ায় ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে ভারত। সেখানেই রিচার অভিষেক হওয়ার সম্ভাবনা। তাঁকে খেলিয়ে হয়তো দেখে নিতে চাইবেন হরমনপ্রীত কৌর। রিচা বলছিলেন, ‘‘সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা উজাড় করে দেব।’’