ঋষভ পন্থ বাজে শট খেলে আউট হয়ে যখন ফিরছেন তখন দিনের অর্ধেক খেলা হয়ে গিয়েছে। মাঠ ছাড়তে চাইছিলেন ৮৭ রানে দাঁড়িয়ে থাকা হনুমা বিহারী। ভেবে ছিলেন সময় লাগবে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের ফেরাতে। কিন্তু আত্মবিশ্বাসী কোহালি তাঁকে সেঞ্চুরি করে তবেই মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দিলেন। বিহারী তা না পারলেও দলের প্রতি কোহালির বিশ্বাস দেখা যাচ্ছিল ওই সিদ্ধান্তে। সেই বিশ্বাস বজায় রেখে একের পর এক রেকর্ড ভাঙল ভারত। দেখে নেওয়া যাক সেই রেকর্ডগুলি।
বিরাটের ভারত ছাপিয়ে গেল ২০০৬ সালের দ্রাবিড়ের ভারতকে। লারা সমৃদ্ধ ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল সে বার থেমে গিয়েছিল ১০৩ রানে। হরভজনের স্পিনের জাদুতে তাঁদের নিজেদের মাঠেই সেটা ছিল সব চেয়ে লজ্জাজনক স্কোর।
রবিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১০০ রানে শেষ করে দেন বুমরারা। ভারতের বিরুদ্ধে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট ইতিহাসে সব চেয়ে কম রানে থামলেন হোল্ডাররা। তৈরি হল নতুন ইতিহাস।
শ্রীলঙ্কার মাটিতে ২০১৭ সালে বিরাটের ভারতই জয় তুলে নেয় ৩০৪ রানে। শিখর, পুজারা, বিরাটদের সেঞ্চুরি, জাডেজার স্পিন সে বার দাঁড়াতেই দেয়নি রঙ্গনা হেরাথদের।
নিজেদের সেই রেকর্ডই রবিবার টপকে গেলেন বিরাটরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ উইকেট যখন পড়লো তখন বাকি আরও ৩১৮ রান। এই বিশাল রানে জয় ভারতকে নতুন রেকর্ড গড়তে সাহায্য করলো। এই জয়ই রানের বিচারে সব থেকে বড় ব্যবধানে জয়।
শুধু দল নয় রেকর্ড গড়েছেন অধিনায়ক কোহালিও। বিদেশের মাটিতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়-এর ভারতের ১১টি টেস্ট জয়ের কীর্তি অস্ট্রেলিয়াতেই ছুঁয়েছিলেন বিরাট। এ দিনের জয়ে টপকে গেলেন সৌরভকে।
পরের টেস্ট জিতলেই ছুঁয়ে ফেলবেন অ্যালান বর্ডারকে (১৩টি জয়)। যদিও বিদেশের মাটিতে সব থেকে বেশি জয়-এর রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক গ্রেম স্মিথ এবং ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড (২৩ জয়)।
ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে সব চেয়ে বেশি সংখ্যক টেস্ট জয়ের রেকর্ডে ছুঁয়ে ফেললেন ধোনিকে। যদিও কোহালি সেই রেকর্ডে পৌঁছতে নিলেন মাত্র ৪৭টি টেস্ট। যেখানে ধোনি নিয়েছিলেন ৬০টি টেস্ট।
সব দেশের অধিনায়কদের বিচারে শীর্ষে রয়েছেন অধিনায়ক গ্রেম স্মিথ। ১০৯টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি জিতে ছিলেন ৫৩টি টেস্ট।
১৫ রানে পাঁচ উইকেট চলে যাওয়ার পর মনে হয়েছিল ভেঙে আরও একটি রেকর্ড। ভারতের রানের বিচারে সব থেকে বড় জয় আসে ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে। ৩৩৭ রানের সেই রেকর্ড ভাঙতেই পারতেন বুমরা-রা।
কিন্তু কেমার রোচ ও মিগুয়েল কামিন্সের শেষবেলার প্রতিরোধ সেই লজ্জার হাত থেকে বাঁচায় ক্যারিবিয়ানদের। মাত্র ১৯ রান আগে থামিয়ে দিতে পারলেই এই রেকর্ডটিও কাল গড়ে ফেলতেন বিরাটরা।