ভারতের ২৫০ রানের জবাব দিতে নেমে ৪৫ ওভারের শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ৬ উইকেটে ২২২। সেখান থেকে কামব্যাক করে ভারত। মঙ্গলবার নাগপুরের জামতা স্টেডিয়াম সাক্ষী থাকল দুর্দান্ত কিছু মুহূর্তের। দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে জিতে সিরিজে ২-০ এগলো ভারত। জয়ের পিছনে কী কী কারণ ছিল এক বার ঝালিয়ে নেওয়া যাক।
বিরাট কোহালির রাজকীয় ব্যাটিং জয়ের অন্যতম কারণ তো বটেই। পিচ মোটেই ব্যাটিং সহায়ক ছিল না। সচিনের পরে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৪০টি শতরান করলেন কোহালি। ওয়ানডে-তে ‘মাস্টার ব্লাস্টার’ ৪৯টি সেঞ্চুরি করেছেন। মাত্র ৯টা সেঞ্চুরি পিছনে থাকলেন রানমেশিন। ম্যাচের সেরাও তিনি।
বিজয় শঙ্করকে নিয়ে ইনিংস গড়ার কাজ শুরু করেন কোহালি। ব্যক্তিগত ৪৬ রানে শঙ্কর রান আউট হন। দু’জনের জুটি (৭১ বলে ৮১) যত এগিয়েছে, কোহালি তত পথপ্রদর্শক হয়ে উঠেছেন তামিলনাড়ুর তরুণ ক্রিকেটারের কাছে। বিজয়ের মারা একটা লং শট যখন বাউন্ডারির বাইরে গিয়ে পড়ছে, হাত মুঠো করে ঝাঁকাতে দেখা গেল অধিনায়ককেও। কোহালি ও বিজয়ের পার্টনারশিপ জয়ের আরও একটা অন্যতম কারণ। বিজয় রান আউট না হলে ভারত আরও বেশি রান করতে পারত এ দিন।
অজি ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়েছে বিরাটের সঙ্গে রবীন্দ্র জাডেজার পার্টনারশিপও। এই ৬৭ রানের পার্টনারশিপই ২৫০ রানে পৌঁছে দেয় ভারতকে।
কুলদীপ যাদবের ভেল্কিও জয়ের একটা বড় কারণ। প্রথম উইকেটে ৮৩ রানের পার্টনারশিপ ভাঙেন। ম্যাক্সওয়েলকে বোকা বানিয়ে ফিরিয়ে দেন চায়নাম্যান। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ক্যারিকেও ফেরান তিনি।
যশপ্রীত বুমরার বোলিংও জয়ের একটা বড় কারণ তো বটেই। ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন বুমরা। বুঝতে দেননি শামির ফর্মে না থাকাটা।
শন মার্শের আউট হওয়া, হ্যান্ডসকম্বের রান আউট হওয়াটাও ম্যাচ জেতার টার্নিং পয়েন্ট তো বটেই। ম্যাচ ওখানেই ঘুরে যায়।
বুমরা ৪৮তম ওভারে মাত্র এক রান দিয়ে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন অজিদের।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ১১, ব্যাট করছেন জমে যাওয়া মার্কাস স্টোয়নিস। বিজয় শঙ্করের হাতে বল তুলে দিলেন কোহালি। প্রথম বলে স্টোয়নিস আর তৃতীয় বলে জ়াম্পা। ভারতের জয় এল আট রানে।
ম্যাক্সওয়েলের টিকে থাকতে না পারাটাও একটা বড় কারণ তো বটেই ভারতের জয়ের। টসে জিতে বোলিং নেওয়াটা অস্ট্রেলিয়ার জন্য মোটেও ভাল ছিল না।
রবীন্দ্র জাডেজাও এ দিন বল হাতে ভেল্কি দেখিয়েছেন ভালই। তিনিও জয়ের এক কারিগর তো বটেই।