ফাইল চিত্র।
কিলিয়ান এমবাপের এ’মরসুমে সম্ভবত রিয়াল মাদ্রিদে খেলা হচ্ছে না। ফরাসি প্রচার মাধ্যমে লেখা হয়েছে, প্যারিস সাঁ জারমাঁ নাকি ট্রান্সফার ফি-র মূল্য বাড়িয়ে দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের শেষ প্রস্তাবও নাকি খারিজ করে দিয়েছে।
এমবাপে যে রিয়াল মাদ্রিদ খেলতে চেয়েছিলেন সেটা পরিষ্কার। বিভিন্ন সময় স্পেনের এই ক্লাবের প্রতি তাঁর দুর্বলতার কথা গোপন করেননি ২২ বছর বয়সি ফরাসি তারকা। এমনকি পিএসজি-র স্পোর্টিং ডিরেক্টর লিয়োনার্দোও স্বীকার করেছিলেন, এমবাপে আর তাঁদের ক্লাবে খেলতে চান না। কিন্তু রিয়ালের কোনও প্রস্তাবই তাঁদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। লিয়োনার্দো এমনকি মন্তব্য করেন, পিএসজি-র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারের প্রতিনিধির সঙ্গে সরাসরি কথা বলার মতো অনৈতিক কাজ করেছিল রিয়াল।
রিয়াল শুরুতে ১৩৯৫ কোটি টাকা দিতে চেয়েছিল এমবাপের জন্য। কিন্তু পিএসজি দাবি করে, ১৭২৫ কোটি টাকা। রিয়াল তাদের দ্বিতীয় প্রস্তাবে অঙ্কটা বেশ খানিকটা বাড়ালেও তা গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়নি প্যারিসের ক্লাবের কাছে। ফ্রান্সের প্রচার মাধ্যমে লেখা হয়েছে, রিয়াল নাকি আর নতুন কোনও প্রস্তাব দেবে না। তারা অপেক্ষা করে থাকবে পরের মরসুমের জন্য। যখন পিএসজির সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাবে এমবাপের। এবং পরের বার বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্সের স্ট্রাইকার স্পেনে খেলতে গেলে লিয়োনার্দোরা কিন্তু কোনও রকম আর্থিক লাভের মুখই দেখতে পাবেন না। তবু ঝুঁকি নিয়েই পিএসজি শেষপর্যন্ত এমবাপেকে না ছাড়ার সিদ্ধান্তই নিয়েছে বলে ফ্রান্সের কাগজে লেখা হচ্ছে।
লিয়োনার্দো এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘দু’মাস আগেই কিলিয়ানকে আমরা যে প্রস্তাবটা দিয়েছিলাম, তা একমাত্র সেরা ফুটবলাররাই পেয়ে থাকে। এমনকি এই কিছুদিন আগে ওকে আমরা আরও ভাল প্রস্তাব দিই। কিন্তু গত দু’বছর ধরেই রিয়াল মাদ্রিদ কিলিয়ানের ব্যাপারে একটা নির্দিষ্ট কৌশল নিয়েছে। যার সবচেয়ে আপত্তিকর এবং অনৈতিক দিক হচ্ছে, আমাদের সঙ্গে এখনও চুক্তিবদ্ধ এমন একজনের প্রতিনিধির সঙ্গে একেবারে সরাসরি কথা বলাটা।” তিনি আরও বলেছেন, “তা ছাড়া স্পেন থেকে আমাদের কাছে প্রস্তাবটা এল দলবদল বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঠিক সাত দিন আগে। এবং চুক্তি শেষ হতে যখন আরও এক বছর বাকি। এ ক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্তটা পরিষ্কার। যে দাম দিয়ে একজনকে আমরা অতীতে নিয়েছি, তার কম মূল্যে কখনওই তাকে বিক্রি করব না।’’