প্রশংসা: রবি শাস্ত্রীকে নিয়ে খুশি কোচ নির্বাচনী প্যানেলের সদস্য। ফাইল চিত্র
তাঁদের কমিটির উপরে দায়িত্ব পড়েছে ভারতীয় দলের কোচ এবং সহকারীদের বেছে নেওয়ার। সেই কমিটির অন্যতম সদস্য, অংশুমান গায়কোয়াড় পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন, বর্তমান হেড কোচ রবি শাস্ত্রীর পারফরম্যান্সে তিনি খুশি।
বিশ্বকাপের পরেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে ভারতীয় কোচিং এবং সাপোর্ট স্টাফের। তবে শাস্ত্রী-সহ বাকি কোচিং স্টাফের মেয়াদ ৪৫ দিন বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর পর্যন্ত দায়িত্বে থাকছেন শাস্ত্রীরা। তার পরে কপিল দেব, গায়কোয়াড় এবং শান্তা রঙ্গস্বামীদের অ্যাড হক প্যানেল নতুন কোচ এবং তাঁর সহকারীদের বেছে নেবে। তার আগে গায়কোয়াড় যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে শাস্ত্রীর দায়িত্বে থাকা নিয়ে অনেকেই আশাবাদী হচ্ছেন। জাতীয় দলের প্রাক্তন এই ওপেনার মনে করছেন, ভারতের হেড কোচের জায়গা নিয়ে আর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কোনও মানে হয় না।
মুম্বইয়ে প্রচারমাধ্যমকে গায়কোয়াড় বলেছেন, ‘‘শুধু যদি ম্যাচের ফল দেখেন, তা হলে বলতেই হবে রবি শাস্ত্রী যথেষ্ট ভাল কাজ করেছে।’’ তবে গায়কোয়াড় মনে করেন, বাকি কোচিং স্টাফ এবং সাপোর্ট স্টাফের জায়গায় বদল হতেই পারে। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয় রবির জায়গা ছাড়া বাকি কোচিং এবং সাপোর্ট স্টাফের জায়গা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এ বার দেখতে হবে, কারা আবেদন করেছে, তাদের যোগ্যতা কী, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের শর্তাবলী পূরণ করতে পারছে কি না, ইত্যাদি।’’ হেড কোচ, ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং কোচ, স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ এবং প্রশাসনিক ম্যানেজারের পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
গায়কোয়াড় নিজে ভারতীয় দলের কোচ ছিলেন ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত। তার পরে তাঁর জায়গায় আসেন জন রাইট। ভারতীয় ক্রিকেটে দেখা যায়, যিনি কোচ হন, তাঁর পছন্দ মতোই সাপোর্ট স্টাফ বাছা হয়। এ বার কি সে রকম কিছু হতে পারে? গায়কোয়াড় জানাচ্ছেন, যে ভূমিকায় যে সেরা, তাঁকেই বেছে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘আমি যখন ভারতীয় দলের কোচ ছিলাম, তখন সঙ্গে শুধু এক জন চিকিৎসক ছিল। এটা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট লোকেদের যোগ্যতা এবং কাজ করার পদ্ধতির উপরে। নিজের পছন্দ মতো সাপোর্ট স্টাফ নেওয়ার ব্যাপারটা নির্ভর করে কার থেকে কেমন কাজ পাওয়া যাচ্ছে, সে ব্যাপারটার উপরে। আমরা প্রার্থীদের বাছাই করার সময় সেই ব্যাপারটার উপরেই নজর রাখব। কে কেমন কাজ দিতে পারবে।’’
গায়কোয়াড় স্বীকার করে নিচ্ছেন, ভারতীয় দলের কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফ বাছার কাজটা রীতিমতো কঠিন। ভারতের প্রাক্তন কোচ বলেছেন, ‘‘বাইরে থেকে দেখে মনে হয়, কাজটা খুব সোজা। কিন্তু ব্যাপারটা তা নয়। ছোটখাটো অনেক ব্যাপারের উপরেই নজর রাখতে হয়। দেখতে হয়, যাদের নেওয়া হচ্ছে, তারা অধিনায়ক এবং দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ঠিকমতো কাজ করতে পারবে কি না। এ সব জায়গায় ম্যান ম্যানেজমেন্টের দক্ষতা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। কারণ এই পর্যায়ে টেকনিক্যাল ব্যাপার নিয়ে কাজ করার জায়গা খুব কমই থাকে।’’
গায়কোয়াড় চান কোচ, সহকারী কোচ বেছে নেওয়ার আগে ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে নিতে। ‘‘আমরা তো একেবারেই বাইরের লোক। তাই ভারতীয় বোর্ড যদি অনুমতি দেয়, তা হলে দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারি,’’ বলেছেন গায়কোয়াড়।