রশিদ খান। ছবি: এএফপি
যাঁর স্পিনের ফাঁদে হাঁসফাঁস করতেন বিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা, বিশ্বকাপের একটা ম্যাচ পরে তিনিই এখন নেট দুনিয়ায় হাসির খোরাক। তিনি রশিদ খান, আফগানিস্তানের এই ডান হাতি লেগ-স্পিনার আইপিএলে দুর্দান্ত বল করে আশা জাগিয়েছিলেন। বিশ্বকাপে রশিদ যে ভাল বল করবেন, তা ধরে নিয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু আফগানিস্তান বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচ যেন রশিদের জীবনে দুঃস্বপ্ন ডেকে এনেছে। ইংল্যান্ড, বিশেষ করে মর্গ্যানের বেদম মারে কার্যত ধ্বংস যায় আফগান বোলিং। রেহাই পাননি রশিদ খানও। ইংরেজ অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যানের ১৪৮ রানের দৌলতে ইংল্যান্ডের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ৩৯৭। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং শেষে দেখা যায় রশিদ নয় ওভারে ১১০ রান দিয়েছেন, যা বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত বোলার হিসাবে সবথেকে বেশি রান দেওয়ার রেকর্ড।
নির্বাসিত হোক গোটা দল, নির্বাচকরাও, ভারতের কাছে হারের পর মামলা পাকিস্তানের আদালতে
জীবনের অন্যতম সেরা ইনিংস, বলছেন শাকিব
ঠিক এরপর থেকেই নেটিজেনদের ট্রোলিংয়ের বহর বেড়ে যায়। আইপিএলে সফল বোলারের এই পরিণতিতে কটাক্ষ করতে থাকেন বহু নেটিজেন। তার সঙ্গেই শেয়ার হতে থাকে নানান ‘মিম’। মূলত আইসল্যান্ডের ক্রিকট বোর্ড রশিদকে নিয়ে ট্রোল শুরু করলেও দাবানলের মতো মুহূর্তে তা ছড়িয়ে পড়ে।
এর পরেই রশিদের পাশে দাঁড়ান বিশ্বের বহু ক্রিকেটার। টুইট করে তাঁরা বলেন, খারাপ সময়ে সবারই আসে তা নিয়ে মজা করা কখনই উচিত নয়।
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার স্টুয়ার্ট বর্ড বলেন, বোলার হিসাবে খারাপ সময় সবারই আসতে পারে, সেই নিয়ে মজা করা কোনও ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার লিউক রাইট এই ধরনের ঘটনাকে ‘রাবিশ’ বলে টুইট করেন। রশিদের পাশে দাঁড়িয়ে টুইট করেন নানান দেশের একাধিক ক্রিকেটার। তাঁদের সবারই মত, বোলারদের চ্যালেঞ্জ অনেকটাই বেশি, আর খারাপ সময়ে অনেক ক্রিকেটারের জীবনেই আসে। এই রকম সময়ে সেই ক্রিকেটারের পাশে দাঁড়ানো উচিত, মজা নয়।
তাঁকে নিয়ে মজা করার জবাব কি পরের ম্যাচে ২২ গজে দেবেন রশিদ? সেই উত্তরের অপেক্ষায় গোটা ক্রিকেট বিশ্ব।