মিতালি এবং রমেশ।
ডব্লিউ ভি রমনকে সরিয়ে রমেশ পওয়ারকে মহিলা দলের কোচ করে নিয়ে আসার পর থেকেই চরম ডামাডোল বোর্ডের অন্দরে। কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরনোর মতোই একের পর বিতর্কিত বিষয় সামনে চলে এসেছে।
যেমন, লোধা আইন অনুযায়ী ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের বোর্ডের কোনও পদে থাকা যাবে না। এই আইনের সংশোধন চেয়ে কিন্তু এখনও সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেনি বোর্ড। গত ২০ মার্চ ৭০ পূর্ণ হয়েছে ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটির প্রধান মদন লালের। তাহলে কী করে তিনি কোচ নির্বাচন করলেন?
প্রশ্ন উঠেছে সুলক্ষণা নায়েককে ঘিরেও। এতদিন মাত্র তিনটি বৈঠকে হাজির ছিলেন তিনি। কোচ নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি যেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন যে পওয়াকেই ফিরিয়ে আনবেন। মাত্র একটা খারাপ সিরিজের জন্য সরিয়ে দেওয়া হল রমনকে। শুধু তাই নয়, টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে তোলার পরেও রমনকে নাকি জিজ্ঞাসা করা হয়, এই দল পওয়ার তৈরি করে দিয়ে যাওয়ার পরেও কী করে সাফল্যের ভাগীদার হিসেবে দাবি করছেন নিজেকে?
সরকারি ভাবে খবর না থাকলেও, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দল নির্বাচন নিয়ে নাকি রমন এবং দল নির্বাচন কমিটির প্রধান নীতু ডেভিডের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়েছিল। শেফালি বর্মাকে একদিনের সিরিজে দলে নেওয়া হয়নি। শিখা পান্ডেকে আচমকাই বাদ দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়, তাঁর নাকি ওজন বেশি। রমন মোটেই একমত হতে পারেননি। কেন শিখাকে বাদ দেওয়া হল তাঁর যুক্তিযুক্ত উত্তরও দিতে পারেননি নির্বাচকরা।
বেঙ্গালুরুর ক্লাব ফ্যালকনের দুই ক্রিকেটার সি প্রতুষা এবং মণিকা পটেলকে দলে নেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য শান্তা রঙ্গস্বামী ওই ক্লাবের সদস্য এবং অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
তবে রমনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে কিছু। অনুশীলনের সময় মাঝেমাঝেই নিজেকে গুটিয়ে নিতেন তিনি। মনোযোগ দিতেন না। পাশাপাশি, কোনও ক্রিকেটার ভাল খেললেও তাঁকে তারিফ করতেন না।