উচ্ছ্বাস: দলকে জিতিয়ে সতীর্থদেরও ভার বহন করলেন কর্নওয়াল। টুইটার
অকল্পনীয় বললেও বোধহয় কম বলা হয়। টেস্ট সিরিজে সমতা ফেরানোর জন্য বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল মাত্র ২৩১ রানের। শেষ দিনে সেই লড়াইয়েও হার মানলেন মোমিনুল ইসলামরা। অভিযান শেষ হয়ে গেল ২১৩ রানে। ১৭ রানে দ্বিতীয় টেস্ট এবং সিরিজ জিতে ক্রেগ ব্রাথওয়েটরা ফেরালেন ক্যালিপসো ক্রিকেটের মাধুর্য।
ম্যাচের নায়ক অ্যান্টিগার ২৮ বছরের অফস্পিনার রাহকিম কর্নওয়াল। প্রথম ইনিংসে পাঁচ শিকারের পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও তিনি তুলে নিলেন চার উইকেট। সঙ্গত কারণেই তাঁকেই ম্যাচের সেরা বেছে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশকে সমতায় ফেরাতে মরিয়া লড়াই করেছিলেন অভিজ্ঞ তামিম ইকবাল (৪৬ বলে ৫০) এবং মেহদি হাসান মিরাজ় (৫৬ বলে ৩১)।
কিন্তু তাতে ম্যাচের গতিপ্রকৃতিতে কোনও বদল ঘটেনি। কর্নওয়ালের সঙ্গে তিনটি করে উইকেট তুলে নেন অফস্পিনার ক্রেগ ব্রাথওয়েট (৩-২৫) এবং বাঁ-হাতি স্পিনার জ়োমেল ওয়ারিকান (৩-৪৭)। ম্যাচের পরে গর্বিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ব্রাথওয়েট বলেন, “এই অভিনব সাফল্য এসেছে দলীয় একতার কারণে। ওয়ান ডে সিরিজে আমরা ভাল খেলতে পারিনি। তাই টেস্ট সিরিজে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছি। দেশের মানুষকে এই জয় উপহার দিলাম।” ম্যাচের সেরা কর্নওয়াল বলেছেন, “দুই ইনিংস মিলিয়ে নয় উইকেট প্রাপ্তি নেহাত মন্দ নয়। তবে প্রথম দিন থেকে দল দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছে। আমিও উপভোগ করেছি এই টেস্টটা।”
কিংবদন্তি ভিভ রিচার্ডস টুইট করেন, “অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স। যখন তরুণ ক্রিকেটারেরা এমন সাফল্য ছিনিয়ে আনে, তখন তার অন্তর্নিহিত অর্থ অনেক বেশি গভীর হয়ে পড়ে। এই দলের জন্য সত্যিই আজ আমি গর্বিত।”
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪০৯ এবং ১১৭। বাংলাদেশ ২৯৬ এবং ২১৩ (কর্নওয়াল ৪-১০৫, ব্রাথওয়েট ৩-২৫, ওয়ারিকান ৩-৪৭)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়ী ১৭ রানে।