দুরন্ত: সেমিফাইনালে উঠে নজির ফেডেরারের। মঙ্গলবার। রয়টার্স
ফরাসি ওপেনের সেমিফাইনালে বহু প্রতীক্ষিত মহাদ্বৈরথ। মুখোমুখি ক্লে-কোর্টের সম্রাট রাফায়েল নাদাল ও তাঁর চ্যালেঞ্জার রজার ফেডেরার। যে কোনও টেনিসপ্রেমীর কাছেই যা স্বপ্নের লড়াই। মঙ্গলবার সেই লক্ষ্যে দুই তারকা বেশ কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পরে বাধ সেধেছিল বৃষ্টি। যে কারণে ম্যাচের মাঝপথেই বন্ধ করে দিতে হয়েছিল লড়াই। শেষ পর্যন্ত সতীর্থ স্ট্যানিসলাস ওয়ারিঙ্কাকে চার সেটের লড়াইয়ে ৭-৬ (৭-৪), ৪-৬, ৭-৬ (৭-৫), ৬-৪ হারিয়ে শেষ চারের রাস্তা পরিষ্কার করেন ফেডেরার। নাদালকে যদিও বিশেষ ঘাম ঝরাতেই হয়নি মঙ্গলবারের কোয়ার্টার ফাইনালে। তিনি ৬-১, ৬-১, ৬-৩ উড়িয়ে দেন সপ্তম বাছাই জাপানের কেই নিশিকোরিকে।
‘‘আমার স্বপ্ন ফের ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন হওয়া। অন্য খেলোয়াড়েরা হয়তো আমার সঙ্গে একমত হবে না। কাজটা কঠিন তাও ঠিক। তবে যাই হোক না কেন আমি বিশ্বাস করি পারব। ভীষণ কঠিন একটা ম্যাচ খেললাম। স্ট্যান দুরন্ত খেলেছে। ওর বিরুদ্ধে এখানে খেলতে পেরে খুশি।’’ জিমি কোনর্সের ১৯৯১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের সেমিফাইনালে ওঠার পরে ৩৭ বছর বয়সি ফেডেরার সবচেয়ে বেশি বয়সি খেলোয়াড় হিসেবে গ্র্যান্ড স্ল্যামের সেমিফাইনালে যাওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন।
চার বছর আগে ফেডেরারকে ফরাসি ওপেনেই কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়ে দিয়েছিলেন ওয়ারিঙ্কা। তাঁর বিখ্যাত ব্যাকহ্যান্ডও ফিরে এসেছিল, বলছিলেন অনেকেই। সেই দাপটেই ফেডেরারকে তিনি দ্বিতীয় সেটে হারান। ফেডেরার অবশ্য ঘুরে দাঁড়ান কিছুক্ষণ পরেই। তৃতীয় সেটে ফের টাইব্রেকারে ওয়ারিঙ্কাকে হারান। ম্যাচ গড়ায় চতুর্থ সেটে। ৩-৩ গেম থাকার সময় নামে বৃষ্টি। কিছুক্ষণের জন্য খেলা বন্ধ করে দিতে হয়। ফের ম্যাচ শুরু হলে দ্রুত ওয়ারিঙ্কার সার্ভিস ভেঙে ম্যাচ দখল করে নেন ফেডেরার।
পরিসংখ্যান বলছে, মুখোমুখি লড়াইয়ে জয়-হারের দিক থেকে ২৩-১৫ এগিয়ে নাদাল। ২০১৭ সাংহাই মাস্টার্সে ফেডেরার হারিয়েছিলেন নাদালকে। গত পাঁচ বারের মুখোমুখিতেও নাদাল ফেডেরারকে হারাতে পারেননি। শেষ বার তিনি সুইস মহাতারকাকে হারিয়েছেন ২০১৪ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে। ক্লে কোর্টের লড়াইয়ে অবশ্য ১১ বারের ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন নাদাল নিঃসন্দেহে এগিয়ে থাকবেন। পাঁচ বারই ফরাসি ওপেনে তিনি ফেডেরারকে হারিয়েছেন। যার মধ্যে শেষ বার ২০১১ ফাইনালে ফেডেরারকে হারান নাদাল। মঙ্গলবার রোলঁ গ্যারোজে ৯১তম জয় এবং ৩১ নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যাম সেমিফাইনালে ওঠার পরে নাদাল বলেন, ‘‘আর একটা সেমিফাইনালে ওঠার তৃপ্তি পেলাম। এই প্রতিযোগিতা ঘিরে প্রচুর আবেগ রয়েছে আমার। এখনও পর্যন্ত যে ভাবে খেলতে চেয়েছি পেরেছি।
তাই খুব খুশি।’’
মেয়েদের সিঙ্গলসে মঙ্গলবার কোয়ার্টার ফাইনালে ইয়োহানা কন্টা ৬-১, ৬-৪ ফলে স্লোয়ান স্টিফেন্সকে উড়িয়ে দিলেন। ২৬ নম্বর বাছাই কন্টা যে সপ্তম বাছাই মার্কিন তারকাকে হারাবেন ভাবেননি অনেকে। এই জয়ে ফরাসি ওপেনে গত ৩৬ বছরে প্রথম ব্রিটিশ মহিলা খেলোয়াড় হিসেবে সেমিফাইনালে ওঠার রেকর্ড
গড়লেন কন্টা।