উইম্বলডনের মন্থর গতির কোর্টে আমার বাজি এ বার নাদাল

প্রথম সপ্তাহের তিনটে রাউন্ডের খেলা দেখে মনে হচ্ছে, এ বার নতুন কারও উঠে আসার সম্ভাবনা খুব কম।

Advertisement

জয়দীপ মুখোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৯ ০৩:৫৩
Share:

প্রতিজ্ঞা: ছুটির িদনেও উইম্বলডনের মহড়ায় নাদাল। রবিবার। রয়টার্স

ঐতিহ্য মেনে রবিবার উইম্বলডনে কোনও খেলা ছিল না। দু’সপ্তাহের প্রতিযোগিতায় ছ’দিন টেনিসের পরে মাঝের রবিবারটা বিশ্রাম দেওয়া হয়। প্রাকৃতিক সার্ফেস বলে উইম্বলডন কর্তৃপক্ষের মতে, এই একটা দিন কোর্টের ঘাসগুলোরও বিশ্রাম পাওয়া খুব জরুরি। তবে কোর্টে হইচই না থাকলেও কোর্টের বাইরে কিন্তু যথারীতি আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে দ্বিতীয় সপ্তাহের খেলা নিয়ে। জোকোভিচ, নাদাল, ফেডেরার, সেরিনা— কার কতটা সম্ভাবনা রয়েছে ফের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার? না কি নতুন কেউ চমকে দিতে পারেন এ বার?

Advertisement

প্রথম সপ্তাহের তিনটে রাউন্ডের খেলা দেখে মনে হচ্ছে, এ বার নতুন কারও উঠে আসার সম্ভাবনা খুব কম। এর আগের লেখাতেই বলেছিলাম নতুন প্রজন্মের কেউ উঠে আসছে না। সেই তিন তারকা মানে ফেডেরার, নাদাল, জোকোভিচই দাপট দেখাবে। সেটাই কিন্তু হচ্ছে।

প্রথমেই পুরুষদের সিঙ্গলস ড্র-এর কথা আলোচনা করা যাক। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে জোকোভিচের ফাইনালে উঠতে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ফাইনালের আগে ওর সামনে সে রকম বড় বাধা হয়ে ওঠার মতো কাউকে দেখছি না। সেমিফাইনালে হয়তো মিলোস রাওনিচের বিরুদ্ধে ওকে খেলতে হবে। রাওনিচের সার্ভিস বেশ ভাল। তিন বছর আগে উইম্বলডনের ফাইনালে খেলেছে। কিন্তু ও খুব চোটপ্রবণ খেলোয়াড়। তিন বছর আগের রাওনিচ আর এই রাওনিচ কিন্তু এক নয়। তাই ওকে হারিয়ে ফাইনালে উঠতে জোকোভিচের কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

Advertisement

এ বার আসি সিঙ্গলস ড্র-এর দ্বিতীয় অর্ধে। যত খেলা এগোচ্ছে তিন জনের মধ্যে তত বিধ্বংসী হয়ে উঠছে নাদাল। তার সব চেয়ে বড় কারণ, এ বার উইম্বলডনের কোর্ট খুব ধীর গতির। বল বাউন্সও হচ্ছে বেশি। যে কারণে নাদালের মতো ক্লে কোর্টের খেলোয়াড়দের সুবিধে হচ্ছে। শুনলাম কিংবদন্তি মার্কিন টেনিস কোচ নিক বোলেতিয়েরি টুইট করেছেন, ‘‘উইম্বলডনের ঘাস ক্রমশ নাদালের কাছে লাল ক্লে হয়ে উঠছে। যত ম্যাচ এগোচ্ছে, নাদাল আরও ভাল খেলছে।’’ ঠিকই বলেছেন নিক। দ্বিতীয় রাউন্ডে নিক কিরিয়সের বিরুদ্ধে যে ভাবে ও খেলল, তাতেই বোঝা গিয়েছে ব্যাপারটা। কিরিয়স ঘাসের কোর্টে ভাল খেলে। সে দিনও দারুণ খেলছিল। ওকে হারানো মোটেই সহজ ছিল না। কিন্তু নাদাল দ্বিতীয় সেটের পরে কিরিয়সকে আর কোনও সুযোগই দেয়নি। তার পরে তৃতীয় রাউন্ডে সঙ্গার মতো খেলোয়াড়কে তো স্রেফ উড়িয়ে দিল।

ফরাসি ওপেনের পরে ফের সেমিফাইনালে নাদাল-ফেডেরারের মুখোমুখি হওয়া নিয়ে প্রচুর আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। অনেকে জানতে চাইছেন ওরা সামনাসামনি হলে কে এগিয়ে থাকবে? আগে বলেছিলাম, ঘাসের কোর্ট বলে ফেডেরারই সুবিধে হবে। কিন্তু এ বছর উইম্বলডনের এ রকম কোর্ট দেখার পরে আমার মতে এগিয়ে থাকবে নাদালই। ফেডেরারকে যদি সুবিধে করতে হয়, তা হলে অনেক বেশি নেটে উঠে আসতে হবে। অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, নাদাল-জোকোভিচ ফাইনাল হলে কে এগিয়ে থাকবে? আমার বাজি তখনও নাদালই।

মেয়েদের সিঙ্গলসে দুই চেক প্রজাতন্ত্রের খেলোয়াড় পেত্রা কিতোভা আর ক্যারোলিন প্লিসকোভাকে এগিয়ে রাখব আমি এ বার ট্রফি জয়ের দৌড়ে। সেরিনার খেলা দেখে আমার মনে হচ্ছে না, মার্গারেট কোর্টের রেকর্ড এ বারের উইম্বলডনে ও ছুঁতে পারবে। একই কথা বলব অ্যাশলে বার্টি আর সিমোনা হালেপকে নিয়েও।

ভারতীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে এখনও আশা ধরে রেখেছে দ্বিবীজ শরন। তৃতীয় রাউন্ডে শীর্ষবাছাই জুটির বিরুদ্ধে ওদের চ্যালেঞ্জ। আশা করছি, মার্সেলো ডেমোলাইনারের সঙ্গে জুটিতে অঘটন ঘটাতে পারবে দ্বিবীজ!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement