বদলা: রোমে জোকোভিচকে হারানোর পথে নাদাল। ছবি: রয়টার্স
বলা হয় টেনিসের ওপেন যুগে বিয়র্ন বর্গ আর জন ম্যাকেনরোর বৈরিতাকেও দূরে সরিয়ে দিয়েছে রাফায়েল নাদালের সঙ্গে নোভাক জোকোভিচের টক্কর।
পরিসংখ্যানও এমন দাবিকে সমর্থন করে। শনিবার রোমে, দু’জনের ৫১তম লড়াইয়ের আগে ২৬ বার জয়ী সার্বিয়ান তারকা। রাফা জিতেছিলেন পঁচিশ বার। নাদালের বিরুদ্ধে টানা তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের অবিশ্বাস্য নজির জোকোভিচেরই। যদিও মোট গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ে এগিয়ে স্পেনীয় মহাতারকাই। ১৬টি ট্রফির মালিক তিনি। সেখানে নোভাক জিতেছেন মোট ১২টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম।
পরিসংখ্যানেই এমন সাঙঘাতিক যাঁদের আকচা-আকচি, তাঁদের আরও একটা লড়াইয়ের আগে উত্তেজনার পারদ চরমে ওঠাই স্বাভাবিক। অথচ জোকোভিচ এখন আর আগের মতো খেলতে পারছেন না। কনুইয়ের চোট এবং অস্ত্রোপচারের পরে নিজেকে ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে নামলেও এই সে দিনই বার্সেলোনায় তাঁকে হারিয়ে দিয়েছিলেন বিশ্বের ১৪০ নম্বর খেলোয়াড়ও। স্বভাবতই এই ৫১ নম্বর লড়াইয়ের আগে রাফাকেই সবাই এগিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন।
সবাই বলাটা অবশ্য ভুল। একজন ছাড়া। ঘটনাচক্রে তাঁর নাম রাফায়েল নাদাল। কোয়ার্টার ফাইনালে ফগনিনির বিরুদ্ধে জিতে বলেছিলেন, ‘‘নোভাক বিশ্বের অন্যতম সেরা। হ্যাঁ এখনও। আমি তাদের মতো নই, যারা বলে নোভাকের বিরুদ্ধেও দারুণ কিছু করে দেখিয়ে দেব। সেমিফাইনালে অন্তত আমার ওর সঙ্গে খেলার কোনও ইচ্ছে নেই।’’ ইচ্ছে না থাকলেও খেলতেই হল। এবং প্রথম সেটে অন্তত জোকোভিচ বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন খারাপ সময়েও তিনি রাফাকে চাপে ফেলতে পারেন। নাদাল কোনও রকমে প্রথম সেট জিতলেন ৭-৬ (৭-৪)। দ্বিতীয় সেটে অবশ্য জোকোভিচ আর টানতে পারলেন না। বরং নাদালই এ বার ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে ৬-৩ জিতে নিলেন সেট ও ম্যাচ। সঙ্গে এটাও বলে গেলেন, ‘‘নোল (জোকোভিচের ডাকনাম) নিজের জায়গায় ফিরবেই। আজ কোর্টে দাঁড়িয়ে প্রতি মুহূর্তে আমি সেটা টের পেয়েছি।’’