হতাশ: চলতি মরসুমে ট্রফি অধরাই থাকল সিন্ধুর। ছবি: টুইটার
সেই জাপানের নোজোমি ওকুহারার কাছেই এ বার হেরে গেলেন পুসারলা বেঙ্কট সিন্ধু। এ মরসুমে তিনটি প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলেও ট্রফি ধরতে পারলেন না পুল্লেলা গোপীচন্দের প্রিয় ছাত্রী। রবিবার ব্যাঙ্ককে তাইল্যান্ড ওপেন ওয়ার্ল্ড ট্যুর সুপার ব্যাডমিন্টনের ফাইনালে কার্যত আত্মসমর্পন করলেন ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের অন্যতম সেরা প্রতিভা। সেই সঙ্গে মোট সাক্ষাতের নিরিখে ওকুহারা তাঁকে ছাপিয়ে গেলেন। তিনি এখন এগিয়ে ৬-৫। অথচ বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের নিরিখে সিন্ধুই তাইল্যান্ড ওপেনে দ্বিতীয় বাছাই হিসেবে খেলেন। আর ওকুহারা ছিলেন চতুর্থ বাছাই। খেলা দেখে অবশ্য বোঝাই গেল না যে, বাছাই তালিকায় পিছিয়ে থেকেই এ দিন কোর্টে নেমেছিলেন জাপানের প্রতিদ্বন্দ্বী। খেলা শেষ হয়ে গেল ঠিক ৫০ মিনিটে। সিন্ধু হারলেন স্ট্রেট সেটে। ১৫-২১, ১৮-২১ গেমে। ইন্ডিয়া ওপেন, গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ গেমসের পরে আবার ফাইনালে হার। অর্থাৎ, এ মরসুমে তিনটি প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠেও ব্যর্থ হলেন সিন্ধু।
সিন্ধুর বিশ্ব র্যাঙ্কিং এখন তিন। যদিও বিশ্বের আট নম্বর ওকুহারার বিরুদ্ধে রবিবার নিজের র্যাঙ্কিংয়ের প্রতি সে ভাবে সুবিচার তিনি করতে পারেননি। দ্বিতীয় গেমের শুরুর দিকের খানিকটা সময় বাদ দিলে পুরো ম্যাচেই নিয়ন্ত্রণ ছিল ওকুহারার। প্রথম গেম শুরু হতে হতেই সিন্ধু ২-৬ পিছিয়ে যান। অবশ্য কয়েকটা ক্রশ কোর্ট স্ম্যাশ মেরে একটা সময় ব্যবধান কমিয়ে ১৫-১৭ করে ফেলেন। কিন্তু প্রথম গেমে সিন্ধুর দৌড় ওখানেই থামিয়ে মারাত্মক আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলে টানা চারটি পয়েন্ট তুলে গেম জিতে নেন ওকুহারা। দ্বিতীয় গেমে সিন্ধুর শুরুটা কিন্তু দারুণ। এক সময় ৫-১ এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু তার পর থেকেই টানা ভুল করতে শুরু করেন গোপীচন্দের ছাত্রী। যার সুবিধে নিয়ে ওকুহারাই ৭-৬ করে ফেলেন। তবু একটা সময় ১৬-১৭ হয়ে গিয়েছিল ফল। এগিয়ে ছিলেন ওকুহারাই। সিন্ধুর দূর্ভাগ্য একটি লাইন কল-ও তাঁর বিরুদ্ধে গিয়েছে। তবু ফল ১৮-১৮ হয়ে যায় একটা সময়। কিন্তু আবার সেই শেষ তিনটি পয়েন্ট দাপটের সঙ্গে তুলে নেন ওকুহারা। প্রসঙ্গত, শেষ বার ওকুহারার সঙ্গে সিন্ধুর লড়াই হয়েছিল এ’বছর অল ইংল্যান্ড ওপেনে। যে ম্যাচে জিতেছিলেন সিন্ধুই।