ক্যাপ্টেনস লাক’ বোধহয় একেই বলে!
না হলে ছ’টা ম্যাচের মধ্যে পাঁচটাতেই হেরে লিগ টেবলের সবচেয়ে নীচে থাকা টিম নতুন ক্যাপ্টেন আসতে না আসতেই কি না টেবল টপারদের এ ভাবে হারিয়ে দেয়! কিংগস ইলেভেন পঞ্জাবের নতুন ক্যাপ্টেন মুরলী বিজয়কে নিয়ে রবিবার এটাই বলা হচ্ছে। অবশ্য অধিনায়ক বিজয়ের পাশাপাশি এ দিন পঞ্জাবের ‘স্টার পারফর্মার’ আরও একজন আছেন। তিনি— অক্ষর পটেল।
পাঁচ বলে চারটে উইকেট। আইপিএল নাইনের প্রথম হ্যাটট্রিক। অক্ষরের (৪-২১) এই আগুনে পারফরম্যান্সে গুজরাত লায়ন্সকে ২৩ রানে হারিয়ে দিল পঞ্জাব। ১৫৫ তাড়া করতে নামা গুজরাত ম্যাচের সেরা অক্ষরের গোলাগুলিতে একটা সময় ৫৭-৬ হয়ে গিয়েছিল। যেখান থেকে আর উঠে দাঁড়াতে পারেননি সুরেশ রায়নারা। এই নিয়ে মরসুমে দ্বিতীয় বার হারল গুজরাত।
মুরলী বিজয় (৫৫) ও মার্কাস স্টয়িনিসের (২৭) ওপেনিং জুটি ৬৫ রান তুলে দেওয়ার পর কিংগসের মিডল অর্ডারে ধস না নামলে এ দিন রাজকোটের ম্যাচে দুশো রানের কাছাকাছি উঠে যেতে পারত। কিন্তু শিভিল কৌশিকের (৩-২০) দাপটে শন মার্শ (১), গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা (০) দ্রুত ফিরে যান। প্রাক্তন ক্যাপ্টেন ডেভিড মিলার (৩১) আর ঋদ্ধিমান সাহার (৩৩) ব্যাটে দেড়শো পেরোয় কিংগস। ডোয়েন স্মিথ, ব্রেন্ডন ম্যাকালাম, রায়নাদের শক্তিশালী ব্যাটিংয়ের সামনে এই টার্গেট দেখে গুজরাত ফের একটা জয় তুলে নিচ্ছে, এমনই ভেবেছিলেন অনেকে।
চমকটা দেন অক্ষর। সাত নম্বর ওভারে এসে ডোয়েন স্মিথ (১৫), দীনেশ কার্তিক (২), ডোয়েন ব্র্যাভোকে (০) তুলে নেন অক্ষর। যার মধ্যে শেষ দুটডো উইকেট আসে ওভারের শেষ দুটো বলে। এর পর এগারো নম্বর ওভারে এসে প্রথম বলেই তিনি ফেরান রবীন্দ্র জাডেজাকে (১১)। নিয়ে নেন এ বার আইপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিকের মালিকানা।
মুরলী বিজয় এ দিন তাঁর বোলারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করছিলেন। যাতে কোনও এক জন বোলারকে টার্গেট করতে না পারে গুজরাতের ব্যাটসম্যানরা। অবশ্য ঈশান কিষাণ (২৭) আর জেমস ফকনার (৩২) শেষের দিকে মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু গুজরাতকে জেতাতে সেটাও যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত গুজরাতের ইনিংস থেমে যায় ২০ ওভারে ১৩১-৯ স্কোরে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: কিংগস ইলেভেন পঞ্জাব ১৯.৫ ওভারে ১৫৪ (বিজয় ৫৫, কৌশিক ৩-২০), গুজরাত লায়ন্স ২০ ওভারে ১৩১-৯ (ফকনার ৩২, অক্ষর ৪-২১)।