মেডেল তো দুরের কথা রিও অলিম্পিকে ভারতীয় অ্যাথলিটরা ফাইনাল রাউন্ডে উঠলেই যথেষ্ট বলে মনে করেন পি টি উষা। আজ দিল্লিতে এই স্প্রিন্ট কুইন বললেন ‘‘মেডেলের কথা ভাবাটাই ভুল। ভারতের অ্যাথলিটরা রিও অলিম্পিকের ফাইনাল রাউন্ডে উঠলেই যথেস্ট বলে আমি মনে করি।’’
পাশাপাশি নিজের অ্যাকাডেমির দুই ছাত্রী ৮০০ মিটারে টিন্টু লুকা ও ৪x৪০০ মিটার রিলেতে তাঁর অপর ছাত্রী মাত্র সাড়ে ষোলো বছরের কৃষ্ণা ম্যাথুজ ৩.২৯ সেকেন্ডের সময় করছে। তাঁদের নিয়ে পিটি উষা বলেন, ‘‘এই দু’জন রিওতে ফাইনাল রাউন্ডে উঠলেই আমি খুশি হব।এতটাই প্রতিভাশালী আমার এই দুই ছাত্রী।’’
রিওতে ভারতীয় অ্যাথলিটরা বড় জোর ফাইনাল রাউন্ডে যাবে। তবে কেন তাঁরা মেডেল পাবে না তার কারণ হিসাবে উষা স্পষ্ট বলে দিলেন যে এখনকার অ্যাথলিটরা ‘খুব অল্পতেই সন্তুষ্ট হয়ে যান’।একটা ভাল স্থায়ী চাকরি পেয়ে গেলেই তাদের মোটিভেশনটা নষ্ট হয়ে যায়। এটাই বড় কারণ। ‘‘ তাই লড়াই ছাড়তে চাইতাম না বলেই এগিয়েও যেতাম আমাদের লক্ষ্যে। সেটা এখন অনেকটাই কমে গেছে।’’
রিও অলিম্পিকের আগে নিজের দুই ছাত্রীকে নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ডায়মন্ড লিগে নিয়ে যাচ্ছেন উষা। এবং তারপর জামার্নিতে পাঁচটি বড়বড় প্রতিযোগিতায় নামাবেন তাঁর দুই ছাত্রীকে। আর ঠিক তখনই তিনি বুঝে নেবেন তাঁর দুই ছাত্রীর ভবিষ্যত।
মজার ব্যাপার টিন্টু লুকার থেকেও বেশি কৃষ্ণা ম্যাথুজকে আরও বেশি ট্যালেন্টটেড মনে করছেন উষা। তিনি বলেন, ‘‘২০২০ অলিম্পিকে কৃষ্ণা ম্যাথুজ একটি অলিম্পিক মেডেল আনবেই। আপনি লিখে দিতে পারেন। আমি এতটা কনফিডেন্ট,’’ বললেন ভারতের স্প্রিন্ট কুইন।’ পাশে বসা অ্যাঙ্গলিয়ান মেডেল হান্ট কম্পানির সিইও মনীশ বহগুনা সমথর্ন করলেন।
তিনি বললেন, ‘‘কৃষ্ণা ছাড়াও ভারতের আরও কয়েকজন অ্যাথলিটদের মধ্যে কেউ না কেউ ২০২০ অলিম্পিকে ভারতের হয়ে অ্যাথলেটিক্সে প্রথম অলিম্পিক মেডেল আনবেই।’’