তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম ম্যাচ ভেস্তে গিয়েছে বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় ম্যাচে এসেছে সহজ জয়। সিরিজ হারার কোনও আশঙ্কা নেই। টি২০-এর মতো ওয়ান ডে সিরিজেও জিততে কি দলে আসবেন কোনও নতুন মুখ? নাকি জয়ী দল ভাঙতে চাইবেন না বিরাট? দেখে নেওয়া যাক কী হতে পারে ভারতের প্রথম একাদশ।
লোকেশ রাহুল- প্রথম দুই একদিনের ম্যাচে সুযোগ পাননি দলে। তবে শিখর ধওয়নের অফ ফর্মের জন্য আজ তাঁকে দেখে নিতে পারে দল। বিশ্বকাপে ওপেনে নেমে দলকে ভরসা দিয়েছিলেন। আজ নামলেও সেই চেষ্টাই করতে হবে তাঁকে। তবে বিরাটের উইনিং কম্বিনেশন ভাঙার সম্ভাবনা যথেষ্টই কম।
রোহিত শর্মা- আগের ম্যাচে ভাল শুরু করেও ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ককে সঙ্গ দিতে। তবে হিট-ম্যানকে কখনওই দলের বাইরে বসিয়ে রাখতে চাইবে না দল।
বিরাট কোহালি- আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে সেঞ্চুরি করার ফর্ম আবার ফিরে পেয়েছেন। আর ২৫ রান করতে পারলেই তিনি হয়ে যাবেন এই দুই দেশের মধ্যে হওয়া সিরিজে সর্বাধিক রানের মালিক।
ঋষভ পন্থ- বহু সুযোগ তিনি হেলায় হারাচ্ছেন। বার বার চার নম্বরে নামিয়ে তাঁকে তৈরি হওয়ার সময় দিচ্ছে দল। কিন্তু গত ম্যাচে তাঁর আউট হওয়ার ভঙ্গি ভাল চোখে নেননি অনেকেই। তবে এই দলের উইকেটরক্ষক তিনিই। তাই আবারও একটা সুযোগ পাবেন। তিনি কী করতে পারেন, লক্ষ্য থাকবে সে দিকেই।
শ্রেয়াস আইয়ার- গত ম্যাচে তাঁর ব্যাট ভরসা দিয়েছে দলকে। মুম্বই ঘরানার ব্যাটসম্যান বুঝিয়ে দিয়েছেন, মিডল অর্ডারের জন্য তিনি তৈরি। দরকারে চার নম্বরে খেলতেও তৈরি তিনি। ভবিষ্যতে দল কী ভাবে তাঁকে ব্যবহার করে সেই দিকে নজর থাকবে ক্রিকেটভক্তদের।
কেদার যাদব- ব্যাট-বল দুই বিভাগেই তাঁকে কাজে লাগাতে পারে দল। এমন প্লেয়ারকে বেশি করে দলে চান বিরাট-রবি। তবে ভাল পারফরম্যান্স নেই প্রায় অনেকদিন। তবু সুযোগ পেয়েছেন। এবার বোধ হয় নিজের জায়গা পাকা করতে হবে তাঁকে।
রবীন্দ্র জাডেজা- তিনি দলে থাকা মানে ফিল্ডিংয়ে রান বাঁচাবেন, বল হাতে উইকেট নেবেন আবার ব্যাট হাতে দ্রুত রান তুলবেন। দেশের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার তিনি। তাঁকে প্রথম একাদশে না দেখতে পাওয়ার কোনও কারণ বোধ হয় নেই।
ভুবনেশ্বর কুমার- গত ম্যাচে নিয়েছেন চার উইকেট। অসাধারণ ক্যাচ নিয়ে প্রমাণ করেছেন তাঁর ফিটনেসও রয়েছে তুঙ্গে। এই দলের অভিজ্ঞ পেসারকে শেষ ম্যাচে বোধ হয় বসিয়ে রাখবে না দল। কারণ সিরিজ জিততে হলে এই ম্যাচ জিততেই হবে।
মহম্মদ শামি- ভুবির সঙ্গে তাঁর জুটি সব সময়ই চিন্তায় রাখে বিপক্ষ ব্যাটিং লাইনআপকে। গত ম্যাচে ভুবি চার উইকেট নিয়েছেন। তিনি নিয়েছেন দু’টি। এই ম্যাচে ভাল কিছু করে দেখানোর তাগিদ যে তাঁর একটু হলেও বেশি থাকবে তা বলাই বাহুল্য।
কুলদীপ যাদব- বাঁ-হাতি এই স্পিনার ধীরে ধীরে আবার তাঁর ইন্দ্রজাল বিস্তার করছেন। তাঁর স্পিন জাদুর হদিশ পেতে নাকাল হতে হচ্ছে ক্যারিবিয়ানদের। শেষ ম্যাচেও তাঁকেই দেখা পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের হয়ে দ্রুততম ১০০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডের সামনে রয়েছেন তিনি।
নবদীপ সাইনি- গত ম্যাচে ছাপ ফেলতে ব্যর্থ হয়েছেন খলিল আহমেদ। তাই আজকের ম্যাচে সুযোগ দেওয়া হতে পারে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভাল খেলা দিল্লি পেসারকে। সুযোগ পেলে নিজেকে প্রমাণ করতে উজাড় করে দেবেন তিনি এ কথা বলাই যায়।