আদালতে স্বপ্না দাবি করেন যে, তিনি পৃথ্বীকে চিনতেন না। ফাইল চিত্র ।
পৃথ্বী শ-কে তা জানতামই না। আদালতে এমনটাই দাবি করলেন ক্রিকেটারকে হামলার অভিযোগে আটক তরুণী স্বপ্না গিল! নিজস্বী তুলতে না চাওয়ায় পৃথ্বীর গাড়িতে এবং তাঁর উপর আক্রমণের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার রাতে স্বপ্নাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার ওশিওয়ারা থানার পুলিশের তরফে তাঁকে আন্ধেরি আদালতে হাজির করানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, আদালতে স্বপ্না দাবি করেন যে, তিনি পৃথ্বীকে চিনতেন না।
পুলিশ জানিয়েছে, স্বপ্না আদালতে বলেন, ‘‘আমার বন্ধু ওঁকে (পৃথ্বীকে) নিজস্বীর জন্য বলেছিল। আমি জানতামও না যে উনি এক জন ক্রিকেটার। আমরা মাত্র দু’জন ছিলাম এবং পৃথ্বী তাঁর আট বন্ধুর সঙ্গে ছিলেন। এ-ও মিথ্যা যে তাঁরা হোটেলে খাবার খাচ্ছিলেন। ওটা একটি ক্লাব ছিল এবং আমরা ওখানে পার্টি করছিলাম। পৃথ্বীও মত্ত অবস্থায় ছিলেন।’’ পুলিশের তরফে বিষয়টি রফাদফা করতে চাপ দেওয়া হয় বলেও নাকি আদালতে জানিয়েছেন অভিযুক্ত তরুণী। পৃথ্বী তাঁর বুকে এবং হাতে মারেন বলেও অভিযোগ করেছেন ধৃত স্বপ্না গিল।
স্বপ্নার বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার যে অভিযোগ আনা হয়েছে সে প্রসঙ্গে তাঁর আইনজীবীর যুক্তি, ‘‘স্বপ্না কোনও টাকা চাননি। এই দাবির কোনও প্রমাণ নেই। স্বপ্না একজন ‘প্রভাবশালী’ বলে ঘটনার ১৫ ঘণ্টা পরে পৃথ্বী তাঁর বন্ধুর মাধ্যমে পুলিশে অভিযোগ করেন। কেন তিনি সেই দিনই অভিযোগ করলেন না?’’
একই সঙ্গে স্বপ্নার আইনজীবীর দাবি, পৃথ্বীর মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে এবং সেই কারণেই বিসিসিআই তাঁকে নিষিদ্ধ করেছে।
অভিযুক্ত স্বপ্নাকে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার রাতে মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজের একটি হোটেলে কয়েক জন বন্ধুকে নিয়ে নৈশভোজে গিয়েছিলেন পৃথ্বী। সে সময় হোটেলে কয়েক জন পৃথ্বীর সঙ্গে নিজস্বী তোলার আবদার করেন। কয়েক জনের আবদার মেটালেও ভক্তদের ভিড় দেখে চটে যান মুম্বই ক্রিকেট দলের অধিনায়ক পৃথ্বী। তিনি জানিয়ে দেন, সেখানে খেতে এসেছেন। এ ভাবে যেন আর তাঁকে বিরক্ত করা না হয়। এর পরেও কয়েক জন পৃথ্বীকে বিরক্ত করতে থাকেন। পৃথ্বীর এক বন্ধু ফোন করে ম্যানেজারকে গোটা বিষয়টি জানান।
জানা গিয়েছে, আভিযোগ পেয়ে ভক্তদের ওই দলকে হোটেল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। এতেই চটে যায় ওই দলটি। অভিযোগ, হোটেলের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। সেই দলেই ছিলেন স্বপ্না। পৃথ্বীরা যখন নৈশভোজ সেরে বার হন, তাঁদের উপর চড়াও হন স্বপ্নারা। হাতে ছিল বেসবলের ব্যাট। পৃথ্বীর বন্ধুর গাড়িতে আক্রমণ করে সামনের ও পিছনের কাচ ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এর পর পৃথ্বীর বন্ধু বৃহস্পতিবার ওশিওয়াড়া থানায় অভিযোগ করেন। বৃহস্পতিবার রাতে ওশিওয়াড়া থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন স্বপ্না এবং তাঁর বন্ধুরাও। কিন্তু স্বপ্নার কথাবার্তা অসংলগ্ন থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বুধবার রাতের পুরো ঘটনার একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, ক্রিকেটার পৃথ্বীকে হেনস্থা করছেন স্বপ্না। বচসাও চলছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।