সুরেশ রায়নার ব্যর্থতার দিনে আবার ব্যাটে কামাল করলেন মুম্বইয়ের পৃথ্বী শ। ওড়িশার বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে নড়বড়ে শুরু করেও ফেরত আসে মুম্বই। অন্য দিকে ব্যাটিং বিপর্যয় পিছু ছাড়ছে না উত্তরপ্রদেশের।
ভুবনেশ্বরে ওড়িশার বিরুদ্ধেও সেঞ্চুরি করে মরসুমের দ্বিতীয় শতরান করলেন মুম্বইয়ের তরুণ ব্যাটসম্যানের। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পাঁচ ম্যাচে চার নম্বর সেঞ্চুরি এই অনূর্ধ্ব-১৯ তারকার। রঞ্জিতে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে ১২৩ রানের ইনিংসের পর, ওড়িশার বিরুদ্ধেও ১০৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন পৃথ্বী। ম্যাচের শুরুতেই ২০ রানের মাথায় অখিল হেরওয়াদকরকে হারিয়ে চাপে পরে যান অভিষেক নায়াররা। রাহানের সঙ্গে ১২৬ রানের পার্টনারশিপ খেলে ফের মুম্বইকে ম্যাচে ফেরত নিয়ে আসে পৃথ্বী।
অন্য দিকে দিল্লিতে রঞ্জি ট্রফি গ্রুপ ‘এ’-র খেলায় দিল্লির বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ফের ব্যর্থ রায়না। টস জিতে সবুজ উইকেট দেখে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির অধিনায়ক ইশান্ত শর্মা। দিনের শেষে ২৭০-৮ রানে উত্তরপ্রদেশকে আটকে রাখে দিল্লি।
মরসুমের শুরু থেকেই উত্তরপ্রদেশের ব্যাটিং বেশ নড়বড়ে। বুধবার দিল্লির পালম স্টেডিয়ামের সবুজ উইকেটে বল বেশ ভালই সুইং করেছে। তা সামলাতেই নাজেহাল অবস্থা হয় রায়না ও বাকি ব্যাটসম্যানদের। যদিও মহম্মদ সৈফ (৮৩) ও আকাশদীপ নাথের (৫৯) ১১১ রানের পার্টারশিপ উত্তরপ্রদেশকে প্রথম দিনে অলআউট হওয়ার হাত থেকে বাচিয়েছে।
সুইংয়ের ফাঁদে পড়ে বেশিরভাগ ব্যাটসম্যান স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরত যান। যদিও ৫৯ রানে আহত হয়ে ফিরতে হয় মহম্মদ সৈফকে। রায়নার উপরে প্রত্যাশা থাকলেও তা পূরণ করতে পারেননি প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটসম্যান। অফস্পিনার মিলিন্দের একটা দ্রুত ডেলিভারিতে দশ রানে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় রায়নাকে।