বিশ্বকাপ জয়ের পাশাপাশি মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অধিনায়কত্বে একের পর এক সিরিজ জিতেছে ভারত। সেই তালিকায় আছে ২০০৮ সিবি সিরিজও। ধোনির যে দল ১০ বছর আগে সিবি সিরিজ জিতেছিল সেই দলের ক্রিকেটাররা এখন কে কোথায়? আসুন জেনে নেওয়া যাক গ্যালারি থেকে।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক): দশ বছর কেটে গেলেও এখনও ওডিআই স্কোয়াডে ভারতীয় দলের নিয়মিত সদ্য ধোনি। অধিনায়কের ব্যাটন বিরাট কোহালির হাতে তুলে দিলেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে মাঠের মধ্যে এখনও শেষ কথা ধোনিই বলেন।
সচিন তেন্ডুলকর: এই সিরিজে ৩৯৯ রান করেন মাস্টারব্লাস্টার। গড় ছিল ৪৪.৩৩। বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট থেকে বহু দূরে সচিন। অবসর নিয়ে নিয়েছেন দীর্ঘ দিন। এখন সামাজিক কাজেই বেশি মনযোগী মাস্টারব্লাস্টার।
গৌতম গম্ভীর: এই সিরিজের সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী ছিলেন গম্ভীর। তাঁর সংগ্রহ ছিল ৪৪০ রান। কিন্তু সেই সোনার সময় আর নেই গম্ভীরের। এখন জাতীয় দলে ফেরার জন্য লড়াই চালাচ্ছেন গৌতম।
যুবরাজ সিংহ: এই সিরিজে ধারাবাহিক ছিলেন না যুবি। তবে, দলের প্রয়োজনের সময় রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। গৌতমের মতো দলে ফেরার লড়াই চালাচ্ছেন যুবিও।
বীরেন্দ্র সহবাগ: এই সিরিজে কথা বলেনি নজফগড়ের নবাবের ব্যাট। ৫ ম্যাচ থেকে তাঁর সংগ্রহ ছিল ৮১। ২০১৫ সালে জাতীয় দল থেকে অবসর নেন সহবাগ। বর্তমানে কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাবের 'ডিরেক্টর অব ক্রিকেট' পদে রয়েছেন সহবাগ।
রোহিত শর্মা: এই সিরিজে রোহিতের সংগ্রহ ছিল ২৩৫। ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও ভারতীয় দলের নিয়মিত সদস্য রোহিত।
রবিন উথাপ্পা: ১০ ম্যাচ থেকে রবিনের সংগ্রহ ছিল ১৪২। যুবির মতো রবিনের রান কম থাকলেও দলের প্রয়োজনে কথা বলেছিল তাঁর ব্যাট। তবে, ভারতীয় দলে এখন অনিয়মিত রবিন।
দীনেশ কার্তিক: অধিনায়কত্বের পাশাপাশি উইকেটরক্ষক হিসেবে ধোনির দলে থাকায় প্রথম এগারোয় সুযোগ হয়নি কার্তিকের। বর্তমানে ভারতীয় দলের সঙ্গেই আছেন দীনেশ।
সুরেশ রায়না: কার্তিকের মতোই গোটা সিরিজে একটি ম্যাচও খেলার সুযোগ হয়নি রায়নার। বর্তমানে ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে রায়নার।
মনোজ তিওয়ারি: সিবি সিরিজের প্রথম ম্যাচে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে এক দিনের ক্রিকেটে অভিষেক হয় মনোজের। ওই ম্যাচে মাত্র ২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এর পর ওই সিরিজের আর একটি ম্যাচেও সুযোগ দেওয়া হয়নি মনোজ তিওয়ারিকে। এখনও বাংলার দলে নিয়মিত হলেও ভারতীয় দল থেকে বহু যোজন দূরে এই ব্যাটসম্যান।
ইরফান পাঠান: এই সিরিজে মোট ১১টি উইকেট নিয়েছিলেন ইরফান। ইকনমি রেট ছিল ৫.৪৭। কিন্তু বর্তমানে বরোদার রঞ্জি দলেও জায়গা হয় না ইরফানের।
প্রবীণ কুমার: সিরিজের শেষ দিকে দারুণ ছন্দে পাওয়া গিয়েছিল প্রবীণকে। এর পর দীর্ঘ দিন টিম ইন্ডিয়ার হয়ে খেলেন প্রবীণ। কিন্তু ২০১২-এর পর থেকে জাতীয় দলে আর সুযোগ হয়নি তাঁর।
ইশান্ত শর্মা: এই সিরিজে ভারতের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারী ছিলেন ইশান্ত। ৯ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ছিল ১৪টি উইকেট। এখনও টেস্ট দলে সুযোগ পেলেও, ওডিআই দলে অনিয়মিত ইশান্ত।
হরভজন সিংহ: সিবি সিরিজে ১০ ম্যাচে আট উইকেট নিয়েছিলেন হরভজন। কিন্তু ২০১৫ সালের পর থেকে আর আন্তর্জাতিক এক দিনের ম্যাচে দেখা যায়নি ভাজ্জিকে।
শান্তাকুমারান শ্রীসন্থ: সিবি সিরিজে শ্রীসন্থের বোলিং মন জিতে নিয়েছিল বহু বিশেষজ্ঞের। কিন্তু ফিক্সিংয়ের দায়ে এখনও ক্রিকেট থেকে বহু দূরে শ্রীসন্থ।
পীযূষ চাওলা: এই সিরিজে একটিও উইকেট পাননি পীযূষ। তবে, ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। রঞ্জি ট্রফিতে খেললেও জাতীয় দল থেকে বহু দূরে তিনি।
মুনাফ পটেল: এই সিরিজে মাত্র ৩টি ম্যাচ খেলেছিলেন মুনাফ। তিন ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ছিল দু'টি উইকেট। এই সিরিজে বিশেষ ভাবে নজর কাড়তে না পারলেও ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন মুনাফ। বর্তমানে ভারতীয় দল থেকে অনেকটাই দূরে মুনাফ।
আরপি সিংহ: গোটা সিরিজে একটি ম্যাচেও সুযোগ হয়নি আরপি সিংহের। বর্তমানে কমেন্টেটার হিসেবে কাজ করছেন আরপি।