মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বাধীন চেন্নাই দলটি প্রথম থেকেই আইপিএলের অন্যতম সেরা। এখনও পর্যন্ত তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। ২০০৮ সালে প্রথম বার ফাইনালে উঠেছিল তারা। যদিও সেই ম্যাচে তিন উইকেটে রাজস্থানের কাছে হেরে যান ধোনিরা। দেখে নেওয়া যাক সে বারের ফাইনাল চেন্নাইয়ের সদস্যরা আজ কোথায়।
পার্থিব পটেল: সে বার ইনিংস শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে হায়দরাবাদ-সহ বেশ কয়েকটি দলের সদস্য ছিলেন। বর্তমানে জাতীয় দলেও তেমন সুযোগ পাচ্ছেন না। সে দিন করেছিলেন ৩৩ বলে ৩৮ রান।
বিদ্যুত্ শিবরামকৃষ্ণাণ: প্রথম ফাইনালে পার্থিবের সঙ্গী ছিলেন। বর্তমানে ক্রিকেট থেকে বেশ কিছুটা দূরে। প্রথম ফাইনালে ১৪ বলে ১৬ রান করেছিলেন।
সুরেশ রায়না: অধিনায়ক ধোনির অন্যতম পছন্দের ক্রিকেটার। এখনও চেন্নাইয়ের সদস্য। ১৭৬ ম্যাচে প্রায় পাঁচ হাজার রান করেছেন। সেই ম্যাচে ৩০ বলে ৪৩ রান করেছিলেন।
অ্যালবি মর্কেল: সে দিন অন্যতম সেরা বোলার ছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ সময় দু’টি উইকেট দখল করেছিলেন। ব্যাট হাতে ১৩ বলে ১৬ রান করেছিলেন।
এম এস ধোনি: দলের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ১৭৫টি ম্যাচে চার হাজারের বেশি রান করা ধোনি এখনও দলের অধিনায়ক। সে দিন ১৭ বলে ২৯ রান করেছিলেন।
চামারা কাপুগেদেরা: শ্রীলঙ্কার এই ব্যাটসম্যানটি মাত্র একটি সেশন চেন্নাইয়ের সদস্য ছিলেন। তেমন দাগ কাটতে পারেননি। প্রথম ফাইনালে ১২ বলে ৮ রান করেন।
সুব্রহ্মণ্যম বদ্রীনাথ: সে সময় অন্যতম সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার হিসেবে উঠে এসেছিলেন। যদিও তেমন দাগ কাটতে পারেননি। জাতীয় নির্বাচকদের নজর কাড়তে পারেননি। বর্তমানে ক্রিকেট থেকে দূরে। প্রথম ফাইনালে ২ বলে ৬ রান করেন।
মনপ্রীত গনি: প্রথম ফাইনালে একটি উইকেট দখল করেছিলেন। তেমন ভাবে নজর কাড়তে পারেননি। পরবর্তী সময় অন্যান্য দলের সদস্য হয়েছেন।
লক্ষ্মীপতি বালাজি: এক সময় ভারতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। ভারতীয় দলের প্রাক্তন পেসার চেন্নাইয়ের হয়ে প্রথম ফাইনালে কোনও উইকেট পাননি, চার ওভারে ৪২ রান দেন। বর্তমানে ক্রিকেট থেকে দূরে।
মুথাইয়া মুরলিধরণ: বিশ্বের সর্বকালের সেরা স্পিনারদের মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। প্রথম ফাইনালে গুরুত্বপূর্ণ সময় দুটি উইকেট দখল করেছিলেন। চার ওভারে ৩৯ রান দেন।
মাখায়া এনটিনি: দক্ষিণ আফ্রিকার পেস বোলারটিও ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। বর্তমানে কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। প্রথম ফাইনালে চার ওভারে ২১ রান দেন।