ইমরান খানের পাশেই দাঁড়ালেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট । জানিয়ে দিলেন ভারতের পক্ষ থেকে তাঁর উদ্দেশ্যে যে মন্তব্য করা হয়েছিল, তারই জবাব দিয়েছেন ইমরান। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের প্রভাব ক্রিকেটে পড়বে না বলেই আশা করছেন তিনি।
শনিবার ইমরান খান টুইটারে মন্তব্য করেন, ‘‘আমার শান্তিবার্তার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের উদ্ধত ও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় আমি খুবই হতাশ। সারা জীবনেই দেখে এসেছি যে, ছোট মানুষেরা বড় দফতর দখল করে বসে রয়েছে। তাদের বড় কিছু চিন্তা করার মানসিকতাই নেই।’’ পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে নিয়ে ভারতে তোলপাড় হলেও পাক বোর্ডের প্রধান মানি রবিবার ভারত-পাক ম্যাচ চলাকালীন জরুরি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বলেন, ‘‘ইমরান খানের টুইটের আগে ভারতের পক্ষ থেকে এমন কিছু বলা হয়েছিল, যার প্রতিক্রিয়ায় তিনি এই মন্তব্য করেন। এর সঙ্গে ক্রিকেটের সম্পর্ক নেই। ক্রিকেট থেকে রাজনীতিকে দূরে রাখাই ভাল। আমাদের দুই দেশের বোর্ডের মধ্যে এটাই আলোচনা হয়েছে। দুই বোর্ডের চেষ্টা করা উচিত যাতে দুই দেশের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ঠিকঠাক চলে।’’
ইমরানের মন্তব্যের ঠিক পরের দিনই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচের আবহ কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে উঠলেও মাঠে তার তেমন প্রভাব পড়েনি। ইমরান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে যিনি পাক বোর্ডের প্রধান পদে ফিরে আসেন, ইমরানের সেই ‘পছন্দের মানুষ’ হিসেবে পরিচিত মানি বলেন, ‘‘ভারত থেকেও একটা বিবৃতি এসেছিল, কাশ্মীরে মৃত্যুর জন্য ইমরানকে দায়ী করা হয়েছিল। বলেছিল, এটাই নাকি ইমরানের আসল চেহারা। কিন্ত রাজনীতিবিদরা যা বলছেন, তা নিয়ে আমাদের ক্রিকেটের লোকেদের বেশি হইচই না করাই ভাল। দুই বোর্ডের মধ্যে কথাবার্তা চলাই ভাল। এটাই আমরা চাই। ক্রিকেটে রাজনীতি চলে এলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।’’
তবে ভারত-পাক ক্রিকেটীয় সম্পর্কও খুব একটা ভাল নয়, তার কারণ ভারতীয় বোর্ডের বিরুদ্ধে পাক বোর্ডের সাম্প্রতিক অভিযোগ, যা নিয়ে আইসিসি-র দরবারে বিচারসভা বসবে এশিয়া কাপের পরেই। এই নিয়ে মানি বলেন, ‘‘আমি থাকলে হয়তো ভারতীয় বোর্ডের বিরুদ্ধে আইনি পথে যেতাম না। তবে প্রক্রিয়া এখন শেষ পর্যায়ে। তাই এই নিয়ে এখন বলা ঠিক নয়। আমি বরাবর দুই দেশের ক্রিকেট সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করেছি।’’