বিশ্বজিতের কড়া নজরে ডং। বুধবার। ছবি: উৎপল সরকার।
পুলিশের ব্যারিকেড টপকে লিগ জয়ের আরও কাছে পৌঁছতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল!
লাল-হলুদ ড্রেসিংরুমে ইতিমধ্যেই টানা ছয় বার লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গন্ধ ম ম করছে। তার কিছু সুবাস বাইরেও বেরিয়ে আসছে টিমের কোনও কোনও ফুটবলারের মাধ্যমে। আর সেটা আটকানোর প্রাণপণ চেষ্টায় বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। ইস্টবেঙ্গল কোচ ফুটবলারদের বারবার সতর্ক করছেন। তাঁদের মধ্যে যাতে আত্মতুষ্টি না আসে সে জন্য পুলিশ ম্যাচের আগের দিন প্র্যাকটিসের পর টিম মিটিংয়ে আলাদা একটা চ্যাপ্টারই রেখেছিলেন তিনি।
চব্বিশ ঘণ্টা আগে মোহনবাগানের হারে দুই প্রধানের পয়েন্টের পার্থক্য এই মুহূর্তে পাঁচ। খাবরা, বেলোরা ধরেই নিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রঘু নন্দীর পুলিশ এসি-কে হারাতে পারলে চ্যাম্পিয়নশিপের অনেকটা কাছে পৌঁছে যাবেন তাঁরা।
কলকাতা লিগ পাওয়ার জন্য ছটফট করছেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। বিশেষ করে বেলো। বাগান ছেড়ে আসা নাইজিরিয়ান ডিফেন্ডার বলছিলেন, ‘‘ইউনাইটেডে থাকতে আইএফএ শিল্ড জিতেছি। মোহনবাগান জার্সিতে আই লিগ। এ বার ইস্টবেঙ্গলে এসে কলকাতা লিগ না পাওয়ার আক্ষেপ পূরণ করতে চাই।’’ বাগানের হারে কি বেঙ্গলের লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া সময়ের অপেক্ষা? কথা বলে মনে হল, তাঁর পুরনো টিম হেরে বসায় আরও তেতে গিয়েছেন বেলো। যদিও সেই আবেগ সংযত রেখে বলছেন, ‘‘এত তাড়াতাড়ি সেটা বলা ঠিক নয়। তবে চ্যাম্পিয়নশিপ দৌড়ে রয়েছে, এমন টিম পয়েন্ট নষ্ট করলে আমাদের সুবিধে তো হবেই।’’ বেলো একা নন, কাতসুমিরা হারায় স্বস্তিতে লাল-হলুদের অন্য ফুটবলাররাও। খাবরা যেমন বললেন, ‘‘মোহনবাগানের সঙ্গে পয়েন্টের পার্থক্য বেড়ে যাওয়ায় আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। কোনও ভাবেই পয়েন্ট নষ্ট করা চলবে না আমাদের। ডার্বির আগে ওদের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান বেড়ে গেলে আরও চাপমুক্ত থাকব আমরা।’’
এরিয়ান ম্যাচে বাবা-ছেলে রঘু- রাজদীপের মিলিত স্ট্র্যাটেজির সামনে আটকে গিয়েছিলেন ডং-রা। ময়দানে বহু অঘটন ঘটানো কোচ রঘুর কোচিংয়ে প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলা আরও একটা টিম পুলিশের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তাই আরও বেশি সতর্ক বিশ্বজিৎ। মেনে নিচ্ছেন, ‘‘পুলিশ ম্যাচে রঘু কিন্তু বড় ফ্যাক্টর।’’
ময়দানের বিশু যেমন পুলিশ-কোচের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে চিন্তিত, তেমনই রঘুও অস্ত্রে শান দিতে শুরু করেছেন। ইস্টবেঙ্গলের নতুন হার্টথ্রব কোরিয়ান মিডিও ডং-কে বোতলবন্দি করে মেগা প্রতিদ্বন্দ্বীকে নাস্তানাবুদ করতে চাইছেন তিনি। আবার ডং ঠিকঠাক না বাজলে ‘প্ল্যান বি’ ঠিক তৈরি রাখতে আলাদা অনুশীলন করিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কোচও। ডংয়ের আবার কুঁচকিতে একটু চোট রয়েছে। তা সত্ত্বেও খেলানো হবে।
শুধু লাল-হলুদ নয়, সবুজ-মেরুন সমর্থকদেরও আজ চোখ থাকবে রঘুর পুলিশের দিকে। দেখার, ময়দানের ‘ঘুঘু’ কোচ রঘু দুই প্রধানের ব্যবধান কমিয়ে কলকাতা লিগকে আরও জমিয়ে দেন কি না?
বৃহস্পতিবারে প্রিমিয়ার লিগ
ইস্টবেঙ্গল: পুলিশ এসি (বারাসত, ৩-৩০)।